এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ ফেব্রুয়ারী : বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি পরিষদীয় দলের ৪ বিধায়ককে ‘অনৈতিক ভাবে’ বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দল আজ বিধানসভার বাইরে ধর্না কর্মসূচি পালন করলেন।
বিজেপির বিধায়করা “হিন্দু বিরোধী তৃণমূল হায় হায়” স্লোগান দেন । এদিকে তার আগে দলীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে সঙ্গে নিয়ে বিধানসভার গেটের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি সাসপেনশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ওরা হিন্দুত্বের আওয়াজকে ভয় পেয়েছে। এ ডর মুঝে আচ্ছা লাগা ।’ তিনি মন্তব্য করেন, তৃণমূলের লোকেরা খালি শুভেন্দুর নাম জপ করছে।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’মমতা ব্যানার্জির কর্মচারীরা বিধানসভার ভেতরে যে বক্তব্য রেখেছে, ওরা তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়, ওরা সকলেই মমতা ব্যানার্জির কর্মচারী । তৃণমূল কংগ্রেস আদৌ কোনো রাজনৈতিক দল নয় । এটা একটা বেসরকারি কোম্পানি । বাকিরা সবাই কর্মচারী । এই কর্মচারীরা বিধানসভার ভেতরে যা বলেছে , সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে… আমাকে, অগ্নিমিত্রা পালকে, বঙ্কিম ঘোষকে, বিশ্বনাথ কারককে সাসপেন্ড করেছে, বাংলার হিন্দু জনগোষ্ঠী এটা ভালোভাবে নেয়নি ।’
তিনি বলেন,’আতঙ্কের কারণে তৃণমূল আজ সম্প্রীতির কথা বলেছেন । কিসের সম্প্রীতি ? কেন হাইকোর্টে যেতে হয় সরস্বতী পুজোর জন্য ? কেন শ্যামপুরে পাঁচটা দুর্গা মায়ের মূর্তি ভাঙ্গে ? কেন বেলডাঙায় ৫০ টা মন্দির ভেঙেছে? আইসি জামাল ঘুষের টাকায় মন্দির মেরামত করিয়েছে । কেন এগুলো হবে ? কেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি আলামিন মন্ডল উখরা নগরের প্রধান শিক্ষক মহাশয়কে ‘পুজো করা যাবে না’ একথা বলবে ? আলামিন গ্রেফতারও হয়নি, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও হয়নি ।’ তিনি বলেন,’আর হিন্দুদের জন্য, হিন্দুদের দেবদেবীদের সম্মানের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে আর আমার তিন কলিগকে সাসপেন্ড করেছে । আমি গর্বিত আমি হিন্দু ।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন,আমাদের লড়াই কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয় । আমাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে । মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে । পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে । কেন পুলিশের জয়েন্ট সিপি, ডিসিপিকে দিয়ে পুজো করতে হবে, যে কলেজে মমতা ব্যানার্জি পড়েছেন বলে দাবি করেন ? আমাদের বক্তব্য পুলিশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ৷ সরকার তোষামোদ করছে । এটা প্রমাণিত । তিনি পুরোহিতদের ভাতা দেন না । তিনি আমাদের রাজবংশী গুরুদের ভাতা দেন না। ইনি মতুয়া গোসাইদের ভাতা দেন না। ইনি জনজাতিদের গুরুদেবদের ভাতা দেন না । কিন্তু ইমাম ও মোয়াজ্জামদের ভাতা দেন । তাই এই সরকার তোষামোদকারী সরকার, এটা একবার নয় এক হাজার বার বলবো।’
আজকে বিধানসভার শ্রেণীতে সাসপেন্ডেড এমএলএ সহ বিজেপির সমস্ত এমএলএরা ধর্ণা দেয় । বিজেপি সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে একটা নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে৷ যেখান থেকে আজকে এই কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে বলে জানান শুভেন্দু । বিধানসভার বাইরে থেকে রাজ্যপালের দেওয়া ভাষণের জবাবী ভাষণ দেওয়ার কথা জানান শুভেন্দু অধিকারী ।।