এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ ফেব্রুয়ারী : বুধবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । তিনি রাজ্য সরকারের কর্মীদের ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা (ডিএ) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন । চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে নয়া হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন,’কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এখনও ৩৫% ফারাক’ । সেই সাথে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘বঞ্চনার অধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে শেষ হওয়ার কোনো আশাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।’
রাজ্য বাজেটে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আশা ছিল এই বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বড় অঙ্কের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করা হবে। কিন্তু মাত্র ৪% বর্ধিত হারে ডিএ পেতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা।কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এখনও ৩৫% এর ফারাক রয়ে গেলো। বঞ্চনার অধ্যায় এই সরকারের আমলে শেষ হওয়ার কোনো আশাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচরীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পান, অথচ অন্যান্য রাজ্য বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন পান। কেন্দ্রীয় সরকারও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা করে দিয়েছে। গত ১০ বছর ধরে সরকারি কর্মচারীরা এমনিতেই অন্যান্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের থেকে বেতন কম পাচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদের সামান্য এই ৪% মহার্ঘ ভাতার বৃদ্ধি বেশির ভাগ কর্মচারীদের কোনো উপকারেই লাগবে না।’
সব শেষে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মমতা ব্যানার্জী গত এক দশক ধরে সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন, তাই এই সামান্য ৪% মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি সরকারি কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করার একটা কৌশল মাত্র যাতে সরকারি কর্মচারীরা বিভ্রান্ত হোন ও ন্যায্য দাবি করতে না পারেন। মমতা ব্যানার্জীর সরকার আসলে এই অন্তঃসারশূন্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের সাথে আবারো প্রতারণা করেছেন, তাদের বঞ্চিত করেছেন।’।