এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ আগস্ট : বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ‘হতভাগ্য জনগোষ্ঠী’ বলে অবিহিত করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় । তিনি আজ এক্স-এ লিখেছেন,’বাংলাদেশের হিন্দুদের মত হতভাগ্য জনগোষ্ঠী পৃথিবীতে নেই ! নির্যাতিত জনগোষ্ঠী অনেক আছে, যেমন ইহুদি, তুতসি ইত্যাদি, কিন্তু তারা অন্তত নিজের উপর নির্যাতনের ঘটনাটা বলতে পারে। বাংলাদেশী হিন্দু তাও পারে না, কারণ গান্ধীবাবা -মার্ক্সবাবা বারণ করে গেছেন।এক পিনাকীকে দিয়ে তাদের বিচার করা মানে একটা কেন্নো দিয়ে পুরো জীবজগৎকে বিচার করা।’
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রথম দিকে পড়ুয়াদের হাতে থাকলেও পরে জামাত-ই- ইসলামি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি)সহ বিভিন্ন ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির হাতে চলে যায় । পরিস্থিতি একম জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যে প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আর হাসিনা পালিয়ে আসার পর ইসলামি কট্টরপন্থীদের নজর পড়ে সেদেশের হিন্দুদের উপর । দেশ জুড়ে ব্যাপক হারে নৃশংস খুন,ধর্ষণ-গনধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চলে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে । এমনকি জামাতের জঙ্গিরা বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় । বহু মন্দিরে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় । আতঙ্কে গ্রামের পর গ্রাম খালি করে হিন্দুরা সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতে ঢোকার জন্য জড়ো হয় । শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেনার কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তাদের অনেকে ফিরেও যান।
বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর এই প্রকার নারকীয় অত্যাচার সত্ত্বেও কংগ্রেস-বামপন্থী-তৃণমূল কংগ্রেস বা সমাজবাদী পার্টির মত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ উদারপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে কোনো নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়নি আজ পর্যন্ত । মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে । ওই সমস্ত দলগুলিকে নিশানা করে করে তথাগত রায় ‘গান্ধীবাবা -মার্ক্সবাবা’ বলে কটাক্ষ করেছেন ।।