প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২০ নভেম্বর : ধান সেদ্ধর স্টিম ঘরের গডাউনে থরে থরে সাজানো ছিল ধান ভর্তি বস্তা। সেখান থেকেই বস্তা বন্দি অবস্থায় উদ্ধার হল রকি হালদার নামে এক কিশোরের মৃতদেহ।আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার রংপাড়ায়। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়।রকি কে কারা খুনকরে থাকতে পারে সেই বিষয়টি পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।যদিও রকির পরিবার সদস্যদের দাবি,রকির বন্ধুরাই রকিকে খুন করে বস্তায় ভরেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ,১৭বছর বয়সী রকি হালদারের বাড়ি কালনার ধর্মডাঙা গ্রামে। গত দু’মাস ধরে রকি তাঁর মায়ের সঙ্গেই কালনার রংপাড়ার একটি ধান সেদ্ধর স্টিমে কাজ করছিল। রবিবার সন্ধ্যে গড়িয়ে যাওয়ায় পরও বাড়ি না ফেরায় মা রিনা হালদার কয়েকবার রকিকে ফোন করেন। তখন ফোনে মায়ের সঙ্গে ছেলের কথাও হয়।এর পর থেকে অনেকটা সনয় পেরিয়ে যাবার পরেও রকি বাড়ি না ফেরায় ফের রকিকে ফোন করেন রিনা দেবী।কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তিনি ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। রাতে রকি বাড়ি না ফেরায় রিনা দেবীভীষণ চিন্তায় পড়ে যান। এর পর সোমবার সকালে ধান সেদ্ধর স্টিমে কাজ করতে গিয়ে সেখানে ধানের বস্তার গাদার মধ্যে একটি বস্তায় ভরা থাকা রকির মৃতদেহ দেখেই রিনা দেবী চিৎকার শুরু করে দেন। রকির মায়ের চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে যান সহ কর্মীরা।তারাও ঘটনা চাক্ষুষ কর স্তম্ভিত হয়ে যান। তারা সঙ্গে সঙ্গে কালনা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্তে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ‘পুলিশ কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাবে ।’ মৃতের মামা শ্যামল হালদার এদিন বলেন,’রকিকে খুন করা হয়েছে। রকির বন্ধুরাই রকিকে খুন করেছে। পুলিশ রকির বন্ধুদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।খুনিরাও ধরে পড়বে।’
ধান সিদ্ধর স্টিমের মালিক বিদ্যুৎ রায় বলেন,’আমি ঘটনার খবর পেয়ে আসি।পুলিশ তদন্তে নেমে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।’ এমন ঘটনা কারা ঘটালো তার কিছুই বুজে উঠতে পারছেন না বলে বিদ্যুৎ রায় মন্তব্য করেন।।