জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০১ মার্চ : বাংলার অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল হল আলু। চাষীরা এর মধ্য দিয়েই স্বপ্ন পূরণের জাল বোনে। মাঝে মাঝে সঠিক দাম না পেলেও ‘আশায় বাঁচে চাষা’ আপ্তবাক্যটি স্মরণ করে আলু চাষের জমি কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে গত বছরের থেকে এবছর আলুর ফলন বেশি হবে। স্বাভাবিক ভাবেই চাষী থেকে আলু ব্যবসায়ী – সবার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে মাঠ থেকে উঠতে শুরু করেছে আলু। সরকারি নির্দেশ মেনে বুধবার (১ মার্চ ২০২৩) থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হিমঘরগুলি চালু হয়ে গেছে। এই রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর মূলত প্রধান সড়কের পাশে। ফলে হিমঘরের পাশের রাস্তায় আলুবাহী ট্রাক্টর, ট্রাক, মোটর ভ্যানের এবং ক্ষেত্র বিশেষে গরুর গাড়ি ও টোটোর দীর্ঘ লাইন পড়ে যাবে। এরসাথে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত চারচাকা ও দু’চাকার গাড়ি তো আছেই। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হবে যানজটের। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বেপরোয়া ছুটে চলবে মোটর ভ্যানগুলো। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
আর এখানেই প্রশাসনের পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের মুখে হলেও শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। যানজট এড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াটাও ট্রাফিক পুলিশের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এখন দেখার কিভাবে পুলিশ প্রশাসন এই বিশাল চাপ সামলায়।কথা হচ্ছিল গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের ওসি অনন্তদেব সাহার সঙ্গে। তিনি বললেন,আমরা জানি আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোট এলাকায় প্রচুর পরিমাণ জমিতে আলু উৎপাদন হয় এবং গুসকরার আশেপাশে অনেকগুলো হিমঘর আছে। এই সময় স্বাভাবিকভাবেই একটু চাপ বাড়বেই। তবে যাতে কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সচেতন আছি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সাধারণ মানুষকেও অনুরোধ করব। আশাকরি সবার মিলিত প্রচেষ্টায় কোনো সমস্যা হবেনা।।