এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৯ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ও কেতুগ্রাম থানা এলাকায় একের পর এক বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেয়েছে কাটোয়া থানার পুলিশ । ওই সমস্ত চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা গ্যাংয়ের পাণ্ডা ওয়াজুল শেখ ওরফে ‘জর্দা’ ও তার তিন সাগরেদ ওয়জুল শেখ, আজিজুল শেখ এবং টিলু শেখ । ইতিমধ্যেই তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে । কিন্তু পুলিশের খাতায় চিহ্নিত ‘কুখ্যাত’ আসামি ২৮ বছর বয়স্ক ওয়াজুলকে জেরা করে যে তথ্য সামনে উঠে এসেছে তাতে কার্যত চোখ কপালে উঠে গেছে পোড় খাওয়া পুলিশ আধিকারিকদের । কারন ওয়াজুল শেখকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে বেলডাঙ্গার বাড়িতে তার দুই স্ত্রী রয়েছে । রয়েছে একাধিক প্রেমিকাও । শুক্রবার ধরা পড়ার আগের দিন পুরুলিয়ায় একটি বাড়িতে ৫৫ হাজার টাকা চুরি করেছিল ওয়াজুলরা । সে ও তার দুই সাগরেদ মিলে ওইদিন আসানসোলের লছিপুর ঢালের নিষিদ্ধ পল্লীতে একরাতেই সব টাকা উড়িয়ে দেয় । এছাড়া পুলিশ জানতে পারে যে ওয়াজুল মাদক মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই জেলে ছিল। গত জানুয়ারি মাসে সে জামিনে ছাড়া পায় । তারপর থেকেই সাগরেদদের সঙ্গে নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে একের পর এক বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় ।
মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার ওই কুখ্যাত আন্তঃজেলা চুরি চক্রের গ্যাং পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান,মালদা, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বীরভূম সহ বিভিন্ন জেলার পুলিশের মধ্যে কার্যত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল । সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জেলা মিলে ওই গ্যাং অন্তত ৩৫ থেকে ৩৬ টি বাড়িতে চুরি করেছে এবং কয়েকমাসে অন্তত দেড়শোর বেশি বাড়িতে চুরি করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । শুক্রবার বুদবুদ থানা এলাকা থেকে ওই গ্যাংটাকে রীতিমতো ফাঁদ পেতে ধরে কাটোয়া থানার পুলিশ । অবশ্য সাহায্য নিতে হয় দুর্গাপুর আসানসোল কমিশনারেট পুলিশেরও । গ্যাংয়ের পাণ্ডা ওয়াজুল শেখ ও তার এক সাগরেদ টিলু শেখকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে বহরমপুর থেকে ৯ ভরি চোরাই সোনা উদ্ধার করে কাটোয়া থানার পুলিশ । কেতুগ্রামে দুটি বাড়ি থেকে চুরি করা ওই ৯ ভরি সোনার গহনা তারা বহরপুরে দুটি গহনার দোকানে বিক্রি করেছিল বলে জানা গেছে । চুরি করা বাকি গহনা এবং অনান্য সামগ্রী উদ্ধার করতে পুলিশ ধৃত বেলডাঙ্গা গ্যাংয়ের চার দুষ্কৃতীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে ।।