এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৯ ডিসেম্বর : গোটা রাজ্যে টোটো বা ই রিক্সা নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে টোটো বা ই রিক্সার রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ৩০ নভেম্বরের পর নম্বর প্লেট ছাড়া টোটো চালানো যাবে না। টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য এবং এক বছরের রিনিউয়াল ফি মোট ধরে পড়বে ১৭৪০ টাকা। অনলাইনে এই টাকাটা দিতে হবে। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন এবং ১৮ মাসের রিনিউয়াল ফি সহ মোট ২৯৪০ টাকাও অনলাইন পেমেন্ট করতে পারেন টোটো চালকরা । ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি টোটোকে রেজিস্ট্রেশনের কাজটা সেরে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু এই টোটো রেজিস্ট্রেশনেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদা জেলার চাঁচল-২ ব্লকে । সেখানে টোটো রেজিস্ট্রেশন ও ইন্সুইরেন্স মিলে ১২,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে । ক্ষিপ্ত টোটো চালকরা গতকাল চাঁচল-২ বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান । দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিডিও-এর কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দেন তারা ।
আন্দোলনকারী একজন বয়স্ক টোটো চালক জানান, রেজিস্ট্রেশনের রিসিভ কপিতে যেখানে ২৮৬৬ টাকা লেখা হচ্ছে সেখানে নিচ্ছে ১৬০০০ টাকা । আমার আর একটা রিসিভে আছে ২৮৬৬ টাকা কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ১২,০০০ টাকা । অনলাইনে টাকা না নিয়ে পিছনের দরজায় টাকা নেওয়া হচ্ছে । ইন্সুইরেন্সের কাগজও দেওয়া হচ্ছে না ।’ তিনি বলেন,’আমার টোটোর দাম ৫০,০০০ টাকা, কিন্তু আদায় করছে ১৭,০০০ টাকা । সারাদিন টোটো চালিয়ে রোজকার ৩০০-৪০০ টাকা । সংসার চালিয়ে কিভাবে এই খরচ জোটাবো ?’
আর এক আন্দোলনকারী টোটো চালক এমডি সামিম বলেন,’আমরা কেউ দিনে ৩০০ কেউ ৪০০ টাকা রোজগার করি । কিন্তু মাঝ রাস্তাতে যেখানে সেখানে আমাদের টোটো ধরা হচ্ছে । আগে চাঁচলে ধরত,এখন মালতিপুরের ভিতরে বা বাইরের রাস্তায় সব জায়গাতেই টোটো ধরছে । এখন বাড়ি থেকে টোটো বের করতেই ভয় লাগছে । যেখানে সেখানে টোটো ধরে ফাইন করে দিচ্ছে । মালতিপুরে ব্যাক রাস্তাতেও ধরে ফাইন করে । ওটাতো আইন নয়৷ কয়েকদিন আগে মালতিপুরে ৮ থেকে ৯টা টোটো ধরে নিয়ে চলে গেছে । ৫০৪০ টাকা করে ফাইন নিচ্ছে । এবার যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে চায় তাহলে বারো হাজার টাকা এবং ওই ফাইনের টাকা দিয়ে তাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে ।’ তিনি বলেন, ‘এইভাবে যদি অত্যাচার করতে থাকে তাহলে টোটো চালানো বন্ধ করে দিতে হবে । টোটো বিক্রিও হবেনা। কারণ এই পরিস্থিতিতে কে কিনবে টোটো ? ফলে আমরা অত্যান্তরে পড়েছি ?’যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোন মতামত জানা যায়নি ।।

