এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ জুন : বন্ধুর ১০ বছরের ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল মদ্যপ যুবক । যদিও পরিবারের লোকজনের তৎপরতায় ঘন্টা খানের মধ্যেই ঝোপঝাড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় । কিন্তু যুবকের এই প্রকার রহস্যজনক আচরণের কারন খুঁজে পাচ্ছে না শিশুটির পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা । বুধবার রাতের ওই ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পালাড় গ্রামের বাসিন্দা কুমার ঘরুই (১০) নামে ওই শিশুর বাবা বাবুসোনা ঘরুই । যদিও রাতেই সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে বাবুসোনার বন্ধু অভিযুক্ত উৎপল মাঝি নামে ওই যুবক । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
জানা গেছে,বাবুসোনা ঘরুই ও রাখি ঘরুইয়ের একমাত্র সন্তান কুমার । সে পালাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । বুধবার বিকেলে পাড়ার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাড়ির অদূরে কালভার্টের কাছে খেলাধুলা করছিল কুমার । কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে সে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় । শিশুর দাদু রাম ঘরুইয়ের কথায়,’আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি আমার নাতির এক বন্ধুর কাছে জানতে পারি যে প্রতিবেশী উৎপল নামে এক যুবক আমার নাতিকে নিয়ে গেছে । এরপর খূঁজতে খুঁজতে ঝোপঝাড়ের সামনে উৎপলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি । সন্দেহ হওয়ায় ঝোপের ভিতরে ঢুকে দেখি নাতির জামাপ্যান্ট দিয়ে তার হাতপা বাঁধা এবং মুখে পাতা গোঁজা অবস্থায় মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে আমার নাতি ।’
জানা গেছে,শিশুটিকে উদ্ধারের পর ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় । এদিকে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক উৎপল মাঝি । তার এই রহস্যজনক আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিশুর বাবা বাবুসোনা ঘরুই। তিনি বলেন,’উৎপল আমার বন্ধু । ঘটনার সময় সে মদ্যপ ছিল বলে আমরা জানতে পারি । ওর সঙ্গে কোনোদিন আমার ঝামেলাও হয়নি । হঠাৎ কেন উৎপল এই ঘটনা ঘটালো কিছুই বুঝতে পারছি না ।’।