এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্রয়াগরাজ(উত্তরপ্রদেশ),১২ এপ্রিল : লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে খুঁজতে বেড়িয়েছিল থানার দুই সাব ইনস্পেকটর । রাস্তার মাঝে দেখা হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে । তাঁকে দুষ্কৃতী মনে করে তুলে থানায় এনে বেদম পেটানোর অভিযোগ উঠল ওই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কর্ণেলগঞ্জ থানা এলাকায় । যদিও ছাত্র সংগঠনের অসন্তোষের জেরে অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট নয় প্রহৃত পড়ুয়া সর্বেশ কুমার যাদব । তাঁর দাবি ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হোক ।
জানা গেছে,প্রয়াগরাজের প্রফেসর রাজেন্দ্র সিং(রাজ্জু ভাইয়া) ইউনিভার্সিটির ছাত্র সর্বেশ কুমার যাদব । ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার । সর্বেশ কুমার বলেন, ‘আমি তখন লাইব্রেরী থেকে বেড়িয়ে ক্লাস করার জন্য ইউনিভার্সিটির দিকে যাচ্ছিলাম । তখন দুই পুলিশকর্মী আমায় আটকায় । দু’চার কথা জিজ্ঞাসা করার পর আমায় তুলে কর্ণেলগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় । তারপর বেল্ট,লাঠি দিয়ে আমায় ব্যপক মারধর করে । আমার বাম হাত ও শরীরের পিছনে খুবই আঘাত লেগেছে । কেন আমায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারলো বুঝতেই পারছি না ।’
জানা গেছে,অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীর নাম হর্ষবীর সিং এবং সোহরাবালা । তাঁরা কর্ণেলগঞ্জ থানার এসআই পদে কর্মরত । পড়ুয়াকে মারধর করার পর দুই পুলিশকর্মী জানতে পারে তারা ভুল ব্যক্তিকে তুলে এনেছে । এরপর তারা পড়ুয়াকে ছেড়ে দেয় । এদিকে সর্বেশ কুমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে ঘটনার কথা জানাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে পড়ুয়ারা ।
ছাত্রনেতা জিতেন্দ্র বলেন,’যে ছাত্রটিকে মারধর করা হয়েছে তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই । আমরা জানতে পেরেছি ওই ছাত্র লাইব্রেরী থেকে বেড়িয়ে ক্লাস করতে যাচ্ছিল । কি কারনে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেল সেটা আমি জানতে চাইনা । কিন্তু কারোর সঙ্গে এই রকম বর্বতাপূর্ণ আচরণ অত্যন্ত নিন্দাজনক । অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করে মামলা রজু করতে হবে । পাশাপাশি যেভাবে সাধারন অপরাধীদের ক্ষেত্রে বুলডোজার ব্যবহার করা হচ্ছে তেমনই ওই দুই পুলিশ কর্মীর ক্ষেত্রেও করতে হবে ।’
ঘটনা প্রসঙ্গে কর্ণেলগঞ্জ থানার সিও অজীত চৌহান বলেন, ‘ লুটপাটের একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল কর্নেলগঞ্জ থানায় । ওই মামলায় অভিযুক্তের নাম শ্রবণ। শ্রবণের সন্ধানেই গিয়েছিল দুই ওই দুই পুলিশকর্মী । তখন ছেলেটিকে রাস্তায় পেয়ে তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে । ওই ছেলেটির সঙ্গে আরও একজন ছেলে ছিল । সেই ছেলেটি দুই পুলিশকর্মীকে মিসগাইড করে পালিয়ে যায় । তাই দুই পুলিশকর্মী ভুল করে সর্বেশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । তবে তাদের জেরা করার পদ্ধতি ঠিক ছিল না । অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই সাব ইনস্পেকটরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।’।