দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০২ এপ্রিল : অহরহ মাটি বোঝাই ট্রাক্টর যাতায়তের ফলে গ্রামে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ছে,প্রায়ই দূর্ঘটনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে-এই অভিযোগ তুলে ট্রাক্ট্রর যাতায়ত বন্ধ করতে পথে নামলেন খোদ গ্রামের মহিলারাই । পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার চরমণ্ডলহাট এলাকার ঘটনা । রবিবার গ্রামের বেশ কিছু গৃহবধূ ও মহিলা মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখায় । প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চলে । যদিও পরে ট্রাকটর চালককে সতর্ক করে ছেড়েও দেওয়া হয় ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,কাটোয়ার চরমণ্ডলহাট গ্রামের ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী । নদীবাঁধের উপর দিয়েই গ্রামে যাতায়াতের মূল রাস্তাটি । ওই গ্রামের বাসিন্দা হিমাংশু বৈদ্য নামে এক ব্যক্তির পারিবারিক জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে । সেই মাটি ট্রাক্টরে করে গ্রামের মূল রাস্তা দিয়েই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
স্থানীয় গৃহবধূ সুপ্রিয়া মণ্ডল,শিলা বিশ্বাসরা বলেন, ‘পুকুর খননের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে । এদিকে লাগাতার ট্রাক্টর যাতায়াতের কারনে গ্রামের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ছে । ফলে গ্রামবাসীদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে । একজন মাটির ব্যবসা করে মুনাফা করবে,তার জন্য গ্রামের বাকি মানুষ কেন কষ্ট ভোগ করবে ?’ তাঁদের অভিযোগ,’কেউ প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে ।’
যদিও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিমাংশু বৈদ্য । তবে গ্রামবাসীদের দাবি জমি কেটে মাটি বিক্রির জন্য আইনত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়,কিন্তু তা নেননি হিমাংশুবাবু । এনিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন । এই প্রসঙ্গে কাটোয়া ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক নীতিশ দাস বলেন,’জমিতে মাটি কাটার জন্য ওই ব্যক্তি ভূমি দপ্তরের অনুমতি নিয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’ তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই হিমাংশু বৈদ্যর কথায়,’পুকুর খনন করলে আদপে গ্রামের চাষিরাই উপকৃত হবেন । জমিতে জলসেচের সুবিধাই হবে তাদের । অথচ এনিয়ে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে ।’।