দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২১ ফেব্রুয়ারী : গোপনে নজর রাখার অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী প্রৌঢ়ের চোখে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে । আক্রান্ত ব্যক্তির নাম শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আশা ক্ষীণ । সোমবার রুপালি রায় নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে ভাতার থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি । অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ।
জানা গেছে,বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা শুভাশীষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ বিধবা মা । তাঁদের বাড়ির পাশেই বাড়ি অভিযুক্ত মহিলার । ঘটনাটি ঘটেছে দিন দুয়েক আগে । শুভাশীষবাবু জানিয়েছেন,সম্প্রতি তাঁর মায়ের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে । দেখাশোনার সুবিধার জন্য ঘটনার দিন একজন কাজের মহিলার সন্ধানে তিনি বেড়িয়েছিলেন । ফেরার পথে ওই মহিলার বাড়ির কাছাকাছি আসতেই তাঁর নজরে পড়ে কয়েকজন মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছে । তারপর প্রতিবেশী মহিলাসহ বাকি মহিলা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় । তাঁকে ব্যাপক মারধর করে তাঁরা । তারই মাঝে প্রতিবেশী মহিলাটি তাঁর চোখে অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছুড়ে দেয় । চোখে ভীষণ জ্বালাযন্ত্রণা শুরু হলে তিনি চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করেন ।
জানা গেছে,ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলে শুভাশীষবাবুকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর রেটিনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান আক্রান্ত ব্যক্তির দিদি রুবি মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘ ভাইয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়ে দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ।’
কিন্তু হঠাৎ কেন হামলা চালালেন ওই মহিলা ? এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন ভাতার থানায় বসে শুভাশীষবাবু বলেন, রুপালি রায় নামে ওই মহিলার সন্দেহ আমি নাকি আড়িপেতে তাঁকে দেখি । কিন্তু একটা ওনার ভ্রান্ত ধারণা । একটা মিথ্যা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অকারন আমার বাকি জীবনটাই নষ্ট করে দিলেন ওই মহিলা । এখন আমার বৃদ্ধা মাকে কে দেখবে ? অন্ধ হয়ে গেলে আমার পরিনতি কি হবে ঈশ্বর জানেন ।’ হামলাকারী মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকজন ৷।