এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৩ জানুয়ারী : নাবালিকাকে ধর্ষণ বা শ্রীলতাহানির মামলায় কড়া আইন রয়েছে দেশে । কিন্তু তেরো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে সকলকে হতবাক করে দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর আদালতের মহিলা বিচারক উর্মিলা যোশি-ফালকে (Urmila Joshi-Phalke)। বিচারপতির কথায়, নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং উভয়ের ইচ্ছাতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে ৷ সুতরাং এটি ধর্ষণের ঘটনা নয় । এদিকে বিচারপতির এই রায়ের পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে । এই প্রকার গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
প্রসিকিউশনের মামলা অনুযায়ী,অভিযুক্ত ওই নাবালিকা মেয়েটির পাশেই থাকতেন, ঘটনার সময় কিশোরীর বয়স ছিল ১৩ বছর। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট, মেয়েটি তার সহপাঠীর কাছ থেকে একটি বই আনার বাহানায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিল । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে অমরাবতী জেলার অঞ্জনগাঁও সুরজি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে । পুলিশ ২৬ বছরের অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রজু করে । ওই বছর ৩০ আগস্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ । পরে আদালতে তোলা হলে তাকে জেলে যেতে পাঠানো হয় । তখন থেকেই জেলে রয়েছে অভিযুক্ত ।
ওই মামলায় উর্মিলা জোশি ফালকের একক বেঞ্চ জানিয়েছে যে মেয়েটি না বালিকা থাকলেও সে নিজের ইচ্ছায় ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশকে দেওয়া একটি বিবৃতি অনুসারে সে নিজেই তার বাবা-মায়ের বাড়ি ছেড়েছিল ৷ পুলিশের কাছে ওই নাবালিকা স্বীকার করেছে যে, অভিযুক্ত যুবকের সাথে তার “প্রেমের সম্পর্ক” রয়েছে । মেয়েটি পুলিশকে আরো জানিয়েছে, সে তার প্রেমিকের সাথে একাধিক জায়গায় ঘুরেছে । মেয়েটি আরো জানিয়েছে যে তাকে অপহরণ করা হয়নি । সুতরাং এতে প্রমাণিত যে যুবকের লালসার শিকার হয়নি ওই কিশোরী । বিচারক বলেছেন, একই বিবেচনায় অভিযুক্তকে আরও কারাবাসে রাখার প্রয়োজন নেই এবং তাকে কারাগারের পিছনে রেখে কোন উদ্দেশ্য পূরণ করা হবে না ।
নিতিন দামোদর ধবেরাও বনাম রাজ্য মামলায় অভিযুক্তের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএস যাদব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ আর চুটকে। নাবালিকা মেয়েটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অ্যাডভোকেট দীপালি পি শাহরেকে নিযুক্ত করা হয়েছিল ।।