এইদিন ওয়েবডেস্ক,সম্ভল,২৩ ডিসেম্বর : উত্তর প্রদেশের সম্ভলে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নৃশংস পরিনতির মুখে পড়তে হল স্বামীকে । এক মহিলা তার প্রেমিকের সাথে মিলে তার স্বামীকে হত্যা করে, তারপর তার দেহ গ্রাইন্ডারে পিষে ড্রেনে ফেলে দেয় । সোমবার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই মহিলা এবং তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার কে কে বিষ্ণোই জানিয়েছেন, রুবি এবং গৌরব নামে অভিযুক্তদের ২০ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভলের চান্দৌসি এলাকার মহল্লা চুন্নির বাসিন্দা রুবি ১৮ নভেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল যে তার স্বামী রাহুল (৩৮) নিখোঁজ। কয়েকদিন পর, ১৫ ডিসেম্বর, পুলিশ ঈদগাহ এলাকার কাছে একটি ড্রেন থেকে একটি বিকৃত দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি মাথা, হাত ও পা ছাড়াই পাওয়া যায়। এসপি জানান, ময়নাতদন্ত করা হয়, ফরেনসিক দল বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা করে মৃতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় ।
তদন্তের সময় পুলিশ দেখতে পায় যে দেহে “রাহুল” শব্দটি লেখা ছিল। নিকটবর্তী থানায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের প্রতিবেদন এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় যে ১৮ নভেম্বর থেকে রাহুলের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। আরও তদন্তের সময়, পুলিশ সন্দেহ করে যে রুবি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রুবি স্বীকার করেছে যে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর সে তার প্রেমিক গৌরবের সহায়তায় তার স্বামীকে হত্যা করেছে ।
এসপি জানিয়েছেন, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে অভিযুক্তরা রাহুলকে হত্যা করে। এরপর তারা একটি গ্রাইন্ডার এনে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। দেহের এক অংশ ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়, বাকি অংশ রাজঘাটে নিয়ে গিয়ে গঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় । পুলিশ মৃতদেহ কাটার জন্য ব্যবহৃত গ্রাইন্ডার, একটি লোহার রড এবং আক্রমণে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। নিহতের ডিএনএ নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং তার পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং মামলাটি শক্তিশালী করার জন্য তাদের সন্তানদের সাথে মেলানো হবে। এই বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।।

