এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২৩ জুলাই : দিনমজুর স্বামী দিনভর বাইরে খাটাখাটি করতেন । বাড়িতে একাই থাকতেন তার স্ত্রী । সেই সুযোগে স্বামীর অজান্তেই তার স্বাক্ষর নকল করে এবং ছবি দিয়ে একের পর এক মাইক্রো ফাইন্যান্সিং কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা । এদিকে ঋণ পরিশোধের তাগাদা শুরু হতেই ঘরবাড়ি এবং স্বামী সংসার ফেলে চম্পট দিলেন তিনি । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি-১ ব্লকের মাধবডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । দীর্ঘ প্রায় একমাস ধরে স্ত্রীর কোন সন্ধান না পেয়ে রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজ মহিলার স্বামী রবেন রায় । পুলিশ তার স্ত্রীর সন্ধান চালাচ্ছে । এদিকে এক দিকে পাওনাদারদের তাগাদা অন্যদিকে স্ত্রী প্রতিমা রায়ের এই প্রকার কর্মকাণ্ডে কার্যত হতভম্ভ হয়ে গেছেন রবেনবাবু ।
জানা গেছে,মাধবডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের রবেন রায় পেশায় জনমজুরের কাজ করেন । স্ত্রী প্রতিমা রায়কে নিয়ে ছিল তার সংসার । গৃহবধূ প্রতিমাদেবী এবং তিনি একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । রবেনবাবু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘কিছুদিন ধরেই পাওনাদাররা টাকা ফেরতের জন্য বাড়িতে আসতে শুরু করে । এনিয়ে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে বলে সে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে আমার নামে ঋণ নিয়ে রেখেছে । আমার ছবিও দিয়েছে এবং স্বাক্ষর নকল করেছে । আমি এনিয়ে স্ত্রীকে বকাঝকা করি । এরপর হঠাৎ একদিন আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় ।’
তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন,গত ২৯ জুন ভোরে তিনি যখন ঘুমচ্ছিলেন সেই সময় তার স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি । বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন । কিন্তু তার স্ত্রীর কোনো সন্ধান পাননি । আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেও খোজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রীকে কোথাও যাননি ।
রবেনবাবু বলেন,’স্ত্রীর নামে একটা জীবন বীমা করেছিলাম । দেখি বিমার দলিলটা পর্যন্ত নিয়ে চলে গেছে ।’ একরাশ ঋণের বোঝা তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে তার স্ত্রী কেন ও কোথায় পালালো তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না ওই প্রৌঢ় । তবে তিনি জানিয়েছেন, ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার নেই এবং তিনি ঋণ পরিশোধের দায়িত্বও নেবেন না ।।