এইদিন ওয়েবডেস্ক,শাহজাহানপুর,২৭ জুলাই : এক মেয়ে ও এক ছেলেকে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে স্ত্রী । সেই অভিমানে ২ বছরের শিশুপুত্রকে কোমরে বেঁধে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী । বুধবার ২৮ বর্ষীয় অরুণ কুমার কুশওয়াহার শাহজাহানপুর জেলার (Shahjahanpur) কোলাঘাট সেতু থেকে রামগঙ্গায় ঝাঁপ দেন । এদিকে ব্রিজের কাছে বসে অরুণের সাত বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে কান্নাকাটি করতে দেখে লোকজন জড়ো হয়ে যায় । ওই শিশুটি তাদের ঘটনার কথা খুলে বলে । শেষে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর- ইনচার্জ বিনোদ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ঘটনাস্থলে ফ্লাড ইউনিট, বেরেলির পিএসিকে ডেকে আনে । পরে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া অরুণ কুমার ও তার ছেলের খোঁজ শুরু হয় । যদিও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাবা ও ছেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি ।
জানা গেছে,অরুণ কুমার কুশওয়াহারের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার ভাউতির মাজরা তিলহাইয়ায় । তিনি হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন । সেখানেই স্ত্রী সুমন ও সাত বছরের মেয়ে তনু, দুই বছরের ছেলে ওমশিবকে নিয়ে থাকতেন অরুণ । কিন্তু পাশাপাশি বাড়িতে বসবাসকারী এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুমন । মঙ্গলবার অরুণ কাজে বেড়িয়ে গেলে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় তার স্ত্রী । ঘরে ফিরে এসে দুই শিশুসন্তানকে কান্নাকাটি করতে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলে অরুণের মেয়ে সব কথা খুলে বলে ।
জানা গেছে,বুধবার সন্তানদের নিয়ে গুরগাঁও থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন অরুণ কুমার কুশওয়াহার । কিন্তু তিনি বাড়ি না গিয়ে রাত বারোটার দিকে কোলাঘাট ব্রিজে পৌঁছে যান । যেখানে তিনি তার ছেলে ওমশিবকে নিজের কোমরে বেঁধে পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে সেতু থেকে রামগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন । লাফ দেওয়ার আগে অরুণ মেয়ে তনুকেও নদীতে ঝাঁপ দিতে বলে । কিন্তু মেয়েটি নদীতে লাফ দেয়নি । এদিকে বাবা ভাইকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর তনু সেতুর পাড়ে বসে কাঁদতে থাকে । সেই সময় সেতু দিয়ে যাওয়া বাইক আরোহীদের বিষয়টি নজরে পড়লে শিশুটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে । তখন ওই শিশুটি তাদের সব কথা খুলে বলে । পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ । শুরু হয় তল্লাশি অভিযান ।।
ছবি ও তথ্য : সৌজন্যে অমৃত বিচার ।