এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২২ আগস্ট : স্বামী কর্মসুত্রে বিদেশে থাকতেন । দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে দেশের বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী । সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরার পর স্বামী জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন । শুরু হয় অশান্তি । শেষে স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দেন স্বামী । সেই আক্রোশে স্বামীকে সব্জি কাটার বঁটি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকায় । শিউলী নামের ওই মহিলা তাঁর স্বামী সোহেলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন করার পর দুই সন্তান নিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যান । কিন্তু শনিবার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব । রবিবার তাঁকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় । নিহতের মা নিরালা বেগম থানায় খুনের মামলা রজু করেছেন ।
জানা গেছে,চৌদ্দগ্রাম থানার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে শিউলী । তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল একই উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সোহেলের । তাঁদের ৩ শিশুসন্তান রয়েছে । ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকায় তাঁরা বসবাস করতেন ।
এদিন রবিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে র্যাবের ৭ স্কোয়াড্রনের লিডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান জানান,গত ১৬ জুলাই সোহেল বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন । এরপর থেকে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় । গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সোহেল মৌখিকভাবে শিউলীকে তালাক দেন ।’ তিনি বলেন, ধৃত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ‘স্বামী তালাক দেওয়ার পরেই তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় স্ত্রী । স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর শোহেল যখন খাটে বসেছিলেন সেই সময় পিছন দিক থেকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে তাঁকে খুন করেন শিউলী । এরপর ওই মহিলা রাতেই দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পালিয়ে যান । দিনভর ফটিকছড়িতে কাটিয়ে রাতে কুমিল্লায় কাকার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন ।’ শেষে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ র্যাবের একটি দল চৌদ্দগ্রাম এলাকায় মহিলার কাকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।’ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটিটি নাজির রোডের চৌধুরী সুলতানা ভবন সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব আধিকারিক আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান