এইদিন ওয়েবডেস্ক,চন্দ্রকোনা(পশ্চিম মেদিনীপুর),০৪ নভেম্বর : সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় এক প্রৌঢ়ের মুখে জোর করে বিষ ঢেলে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার বেলাদণ্ড গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম সুবোধ মণ্ডল(৫৬) । এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী ও একমাত্র ছেলে চন্দন ।
বেলাদণ্ড গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক সুবোধ মণ্ডলের বিধবা বৃদ্ধা মা আশালতাদেবী,স্ত্রী ও ছেলে । আশালতাদেবীর অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর হল ছেলের বিয়ে হয়েছে । কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে বউমা সব সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে শুরু করে । কিন্তু ছেলে কিছুতেই রাজি হত না । তার ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এনিয়ে প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকতো । অশান্তির কারনে কিছুদিন ধরে ছেলে নিজেই রান্নাবান্না করে খাচ্ছিল । কিন্তু তাতেও অশান্তি থামেনি । সম্প্রতি আমার নাতিকেও কাজে লাগাতে শুরু করেছিল বউমা । বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝামেলাও হত । কিন্তু সম্পত্তির লোভে বউমা আর নাতি মিলে যে এই সাংঘাতিক কাজ করবে কল্পনাও করতে পারিনি ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে খবর,মঙ্গলবার সকালে সুবোধবাবু ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর ফের একপ্রস্থ অশান্তি বেধে যায় । তাতে যোগ দেন সুবোধবাবুর ছেলে চন্দনও । ঝামেলার মাঝে তাঁরা সুবোধবাবুকে একটা ঘরে আটকে রেখে তাঁর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ । এদিকে এই খবর প্রতিবেশীরা জানতে পেরে সুবোধবাবুকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
জানা গেছে,পরোপকারী হিসাবে এলাকায় সুবোধ মণ্ডলের যথেষ্ট নামডাক ছিল । তাঁর এই স্বভাবের জন্য এলাকার মানুষ খুব সম্মান করত । কিন্তু এই রকম এক ভালো মানুষের করুণ পরিনতিতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম । দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের অপরাপর লোকজন ও গ্রামবাসীরা । পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও পুত্রের সন্ধান চালাচ্ছে ।।