সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০১ মে : সংস্কারের কিছুদিন পর থেকেই আপনা আপনি জলে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে একটি পুকুর । এদিকে আশপাশে নেই কোনো জলের উৎস । বৃষ্টিপাতও হয়নি সেভাবে । তাহলে কোথা থেকে আসছে এত জল ? পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ভূমসোর সংলগ্ন এলাকার ওই পুকুরটিকে ঘিরে এখন জোর চর্চা চলছে এলাকায় । অনেকে এটিকে অলৌকিক ঘটনা মনে করে জল সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন । পুকুরে পূণ্য স্নানের ঢল পড়ে গেছে । কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জলের উৎসের কোনো হদিশ করতে পারেনি কেউ । আর এই সুযোগে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন গুজব ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাতারের ভূমশোর ও পাটনা গ্রামের মধ্যস্থলে রয়েছে “ঝিংকে” নামে ওই পুকুরটি। পুকুর পাড় সহ দুই বিঘা আয়তনের ওই পুকুরটি মাস দেড়েক আগে থেকে সংস্কারের উদ্যোগী হন পুকুরের মালিকপক্ষ । দিন কুড়ি আগে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে । সংস্কারের পর পুকুর মোটামুটি শুকনোই ছিল । কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে থেকে ওই পুকুরে নিজে থেকেই জল জমছে ।বর্তমানে বুক সমান জল পুকুরে । এনিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
এদিকে এভাবে হঠাৎ করে পুকুরে জল জমায় বিভিন্ন গুজব ছড়াতে শুরু করেছে । স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, এই জল বরফের মতো ঠান্ডা । তাঁরা পুকুরটির সঙ্গে মক্কার জমজম কূপের যোগসুত্র থাকার সম্ভাবনা অনুমান করে দাবি করছেন,এই জল পান করলে নাকি রোগব্যাধি দূর হয়ে যাবে । আর এই সমস্ত গুজবে বিশ্বাস করে আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষজন ছুটে আসছে ওই পুকুরে জল দেখতে । কেউবা পাত্র করে জল ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন পান করার উদ্দেশ্যে । কেউবা ওই জলে স্নান করছেন । ভাতারের ‘ঝিংকে’ নামে ওই পুকুর ঘিরে কার্যত হুলুস্থুল পড়ে গেছে এলাকায় ।
তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ভাতার ব্লক কমিটির সভাপতি ডঃ সিরাজুল হক বলেন, ‘পুকুরটির আশেপাশের অবস্থান দেখতে হবে । পুকুরের ১০০ মিটার দূর থেকেও জল চুঁইয়ে আসতে পারে । তবে নিশ্চিত এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয় ।’ তিনি পুকুরের নিচে আর্টেজিও কূপ থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেননি ।।