এইদিন ওয়েবডেস্ক,২১ নভেম্বর : মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, নিউইয়র্কের জেলা আদালত বহু বিলিয়ন ডলার জালিয়াতির অভিযোগে গৌতম আদানির গ্রেপ্তারের জন্য একটি পরোয়ানা জারি করেছে।আদালতের রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বিদেশি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল।
আদানি গ্রীন এনার্জি এবং অ্যাজুর পাওয়ার ভারতের বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুতের চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫০ মিলিয়ন ডলারেও বেশি ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০-২৪ সালে ঘুষ দেওয়া হয়েছে বা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসইসি অভিযোগ করেছে যে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি কোম্পানি আদানি গ্রীন এবং অ্যাজুর পাওয়ারকে উপকৃত করার জন্য ঘুষ প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল।
এর মাধ্যমে হিন্ডেনবার্গের পর আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। গৌতম আদানিসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। সিডিপিকিউ-এর প্রাক্তন
এমডি, একটি কানাডিয়ান পেনশন তহবিল, এবং অ্যাজুর পাওয়ার এর প্রাক্তন নির্বাহী সিরিল কেবানেস অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন। গৌতম আদানি ছাড়াও এই মামলায় সিরিল কেবনেস, সাগর আদানি, বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, সৌরভ আগরওয়াল, দীপক মালহোত্রা, রূপেশ আগরওয়াল অভিযুক্ত। এসইসি নিউইয়র্কের জেলা আদালতে গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং সিরিল কেবানেসের বিরুদ্ধে দেওয়ানি অভিযোগ দায়ের করেছে।
গৌতম আদানি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পরে আদানি গ্রিন এনার্জি ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বন্ড ইস্যু করার পরিকল্পনা ত্যাগ করেছে। অনেক বিনিয়োগকারী এই বন্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালতে মামলাটি উঠলেই সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম প্রত্যাহার করে নেয়। এই উন্নয়নের পর আদানি গ্রুপের প্রায় সব শেয়ারের দাম কমেছে।।