এইদিন ওয়েবডেস্ক,মহারাষ্ট্র,০৫ আগস্ট : ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র এবং অনলাইনে মুসলিম তরুণদের ইসলামি মৌলবাদে উদ্বেগ করার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের ডাক্তার ওসামা মেজ শেখ এবং উত্তর প্রদেশের আজমল আলী নামে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইউপি এটিএস । ডাঃ ওসামা মেজ শেখ মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুর পশ্চিম থানার অন্তর্গত দরগাহ, বদলাপুর গ্রামের বাসিন্দা মেজ শেখের ছেলে । অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার নগওয়া সাদাত থানার দেরা গ্রামের বাসিন্দা আসগর খানের ছেলে আজমল আলী ।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, উভয় সন্ত্রাসী ‘রিভাইভিং ইসলাম’ (Reviving Islam) নামে একটা উগ্রপন্থী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পরিচালনা করছিল । এই গ্রুপে ৪০০ জন পাকিস্তানীও রয়েছে । তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সহিংস জিহাদের মাধ্যমে শরিয়া আইন প্রয়োগের বিষয়ে এবং গাজওয়া-ই-হিন্দ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আন্দোলনের প্রস্তুতির বিষয়ে মতবিনিময় করত ।
পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজমল আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এটিএস সদর দপ্তরে ডাকা হয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে তার অপরাধ স্বীকার করে এবং বলে যে সে হোয়াটসঅ্যাপে রিভাইভিং ইসলাম গ্রুপ ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেক পাকিস্তানি ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময়,সে আরও বলে যে সে একটি ইনস্টাগ্রাম আইডির সাথে সংযুক্ত ছিল যার ব্যবহারকারী হলেন ডঃ ওসামা মাজ শেখ । সে তার সিনিয়র এবং পরামর্শদাতা বলে মনে করত। ডঃ ওসামা ইনস্টাগ্রাম এবং সিগন্যাল অ্যাপের মাধ্যমে তার সাথে ভারতবিরোধী কথা বলত এবং ভারতের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং শরিয়া বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলত ।
এই বিষয়ে, লখনউয়ের থানা ATS-এর ১৪৮/১৫২ ধারার অধীনে এফআইআর নং ০৮/২০২৫, ০১.০৮.২৫ তারিখে নথিভুক্ত করা হয় এবং উপরে উল্লিখিত অভিযুক্ত আজমলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ম অনুসারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। একই ধারাবাহিকতায়,০৪.০৮.২৫ তারিখে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার বদলাপুর পশ্চিম থানার বদলাপুর গ্রামের দরগার কাছে বসবাসকারী অভিযুক্ত ডঃ ওসামা মেজ শেখকে বদলাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে,উপরে উল্লিখিত উভয় অভিযুক্তই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক পাকিস্তানি ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করত এবং হিংসাত্মক জিহাদের মাধ্যমে ভারতে গাজওয়া-ই-হিন্দ করে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল । এই উভয় অভিযুক্তই অমুসলিমদের বিরুদ্ধে মুসলিম যুবকদের উসকানি দিত, তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করত এবং ভারতবিরোধী, অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করত ।
এখন ইউপিএটিএস এই দলের সাথে যুক্ত অন্যান্য সদস্যদেরও খুঁজতে শুরু করেছে। কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে এই দলের মাধ্যমে একটি বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।।