এইদিন ওয়েবডেস্ক,নিউইয়র্ক,১৭ জানুয়ারী : ধর্মীয় সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ করতে বাধ্য করা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্থানে । এবার এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতিসংঘ । পাকিস্থানের কট্টরপন্থী মুসলিমদের এই প্রকার ঘৃণ্য আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানালো জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল ।
সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ, অপহরণ এবং নারী পাচার নিষিদ্ধ করার আইন গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে । নারী ও শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে । ওই সমস্ত ক্ষেত্রে দেশীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন ।
প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানে মাত্র ২ শতাংশ হিন্দু এবং ১.৫ শতাংশেরও কম খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে । কিন্তু হিন্দু ও খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু মানুষদের নির্বিচারে খুন কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিয়ে দেওয়ার কারনে সেই সংখ্যা প্রতি বছর দ্রুত হারে কমে আসছে । আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসামিদের আইনের আওতার মধ্যে না আনার কারনে ওই সমস্ত ঘটনা ঘটেই চলেছে । মূলত ইসলামি মৌলবাদীদের চাপে এবং শাসনযন্ত্রের ভিতরে মৌলবাদী মানসিকতা ঢুকে যাওয়ায় ন্যায় বিচার পায়না পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ । জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে, বিশেষজ্ঞরা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য ন্যায্য বিচারের চলমান অভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন । যদিও এদিন পর্যন্ত এনিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি ।।