প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ নভেম্বর : বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংস ভাবে আক্রমণ চালিয়ে এক ব্যক্তিকে জখম করার অভিযোগ উঠলো এলাকার যুবকদের বিরুদ্ধে।আক্রান্তের নাম মিলন সিকদার। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার শ্বাসপুর স্কুল পাড়ায়।রক্তাত অবস্থায় পরিবারের লোকজন রবিবার রাতে মিলন সিকদার কে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন । শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ।এলাকার দুই যুবক চিন্ময় কর্মকার ও রাজা মণ্ডল হাতুড়ি ও চপার দিয়ে নৃশংস ভাবে আক্রমণ চালিয়ে মিলনকে জখম করে বলে অভিযোগ । রাতেই ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের বাবা মহাদেব সিকদার। তার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, আক্রান্ত
ও আক্রমণকারীরা সম্পর্কে বন্ধু ।প্রকৃত কি কারণে মিলন সিকদারের উপর তাঁর দুই বন্ধু এমন নিষ্ঠুর আক্রমণ চালালো সেই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। যদিও পুলিশকে মহাদেব সিকদার জানিয়েছেন,রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ এলাকার দুই যুবক চিন্ময় কর্মকার ও রাজা মণ্ডল ফোন করে মিলন কে বাড়ির বাইরে আসতে বলে । মিলন ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গেলে তাঁর উপর চড়াও হয় চিন্ময় ও রাজা। তারা হাতুড়ি দিয়ে মিলনকে ব্যাপক ভাবে মারধোর শুরু করেদেয় । তারই মধ্যে মিলনের মুখ টিপে ধরে রাজা।আর তখনই চিন্ময় চপার দিয়ে মিলনের মাথায় সজোরে আঘাত করে । রক্তাত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে মিলন ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে চিন্নয় ও রাজা সেখান থেকে পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে রাতেই চিন্নয় কে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে মহাদেব সিকদার জানিয়েছেন । কি কারণে এই আক্রমণ সেই বিষয়টি যদিও লিখিত অভিযোগে স্পষ্ট করেন নি মহাদেববাবু ।
তবে এলাকা সূত্রে খবর,পাড়ার এক মহিলা মিলন সিকদারের সাথে কথা বলেতো।নিজের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ওই মহিলা মিলনের কাছে আসতো। ওই মহিলার সাথে মিলনের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এমনটা সন্দেহ করে বসে চিন্ময় ও রাজা।সেই সন্দেহের বসেই রবিবার রাতে তাঁরা তাঁদের বন্ধু মিলনকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে নৃশংস আক্রমণ চালায় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা । পুলিশ যদিও জানিয়েছে,ঘটনার তদন্ত শুরূ হয়েছে । হামলার কারণ তারা খতিয়ে দেখছেন ।।