এইদিন ওয়েবডেস্ক,আগরতলা,০১ মার্চ : ত্রিপুরা জুড়ে প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে পশুপাখি কেটে মাংস বিক্রি এবং লাইসেন্সবিহীন জবাই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় একটি উল্লেখযোগ্য রায় দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট । বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মহন্তি এবং বিচারপতি এস.জি. চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এনিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সর্বজনীন স্থানে অথবা প্রকাশ্য রাস্তায় মাংস বিক্রির অনুমতি দেওয়া যাবে না ।’ আদালত আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (AMC)-কে রাস্তা এবং সাধারন জায়গায় খোলা অবস্থায় মাংস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছেন । রাজ্য সরকারকে কসাইখানা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । সেই সঙ্গে হাইকোর্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুলিশ এবং রাজ্যের অন্যান্য বিভাগকে এএমসিকে এই কাজে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে ।
রাজ্যে জুড়ে প্রকাশ্যে ও অবাধে পশু কেটে মাংস বিক্রি বন্ধের আবেদন জানিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট অঙ্কন তিলক পাল । ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক নির্দেশাবলি জারি করেছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট । আদেশে বলা হয়েছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত মাংসের দোকান চত্বরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে । পাবলিক প্লেসে বা রাস্তায় মাংসের পণ্য বিক্রি করা উচিত নয় । শুধু কসাইখানা বা কসাইখানায় মাংস বিক্রি করতে হবে । আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে হবে । কসাইখানা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভাকে মাংস বিক্রির জন্য জায়গা ঠিক করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
পাশাপাশি বিপন্ন প্রজাতির পাখি বা প্রাণী হত্যার ক্ষেত্রে বন বিভাগকে আগাম জানানোর জন্য এএমসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।
আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ডঃ শৈলেশ কুমার যাদব আদালতকে জানিয়েছেন, একটি কসাইখানা নির্মাণের জন্য গত ২১ ফেব্রুয়ারি একটি দরপত্র জারি করা হয়েছে । দরপত্র গ্রহণের তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কসাইখানা নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে । নগরীতে মোট ১৩৯ জনকে মাংস বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন । আদালতের নির্দেশ, মাংস বিক্রির লাইসেন্স পেতে ইচ্ছুক প্রত্যেক ব্যক্তির আবেদন বিবেচনা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে ।।