দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ ডিসেম্বর : আবাস যোজনার তালিকায় নাম না থাকায় এক বিজেপি নেতাকে বেদম মারধর ও তাঁর দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে । সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে । প্রহৃত বিজেপি নেতা আউশগ্রামের দোখলগঞ্জ গ্রামে বাসিন্দা জয়ন্ত দে কর্মকার এনিয়ে ভুলু বাগদি, সুদেব বাউড়ি, শপথ আঁকুড়ে সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । শুধু তাইই নয়,ঘটনার সময় জয়ন্তবাবুর দোকানের সামনে দিয়ে আলেফনগর গ্রামের বাসিন্দা শেখ কাজল নামে এক যুবক যাওয়ার সময় হামলাকারীরা তার উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ । এদিকে ওই যুবক গ্রামে গিয়ে ঘটনার কথা জানালে পাল্টা লোকজন জড়ো হয়ে যায় । যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । যদিও খবর পেয়ে পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের সন্ধান চলছে ।
জানা গেছে,জয়ন্ত দে কর্মকার আউশগ্রামে বিজেপির ৫৪ নম্বর মণ্ডলের সদস্য। আউশগ্রাম বাজারে তাঁর গহনার দোকান রয়েছে । জয়ন্তবাবুর অভিযোগ,’এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই চার তৃণমূল কর্মী আমার দোকানে আচমকা চড়াও হয় । আবাস যোজনার তালিকায় নাম না ওঠায় তারা আমাকে মারধর ও দোকানে ভাঙচুর করতে শুরু করে ।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের সুবিধার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ফর্ম বিলি করি শুধু । আমি হামলাকারীদের তা বোঝানোর চেষ্টা করি । কিন্তু তারা আমার কোনো কথাতেই কান দেয়নি ।’
জানা গেছে,জয়ন্তবাবুকে মারধরের সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন শেখ কাজল । চার হামলাকারী তাঁকে ধরেও পিটিয়ে দেয় । এদিকে বিজেপি নেতাকে মারধরকে জনরোষ বলে বর্ননা করেছেন আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখ । তাঁর দাবি, ওই বিজেপি নেতা আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১০-১৫ হাজার করে টাকা তুলেছিলেন । যদিও তৃণমূল নেতার এই দাবিকে ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে ব্যাখ্যা করেছে বিজেপি ।।