জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৭ জানুয়ারী : তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত ২ জানুয়ারী নজরুল মঞ্চের দলীয় বৈঠক থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছিল । তারপর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি চলছে । এই কর্মসূচিতে সামনে রেখে শুক্রবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর অঞ্চলে প্রচারে নেমে পড়েন আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার । এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে পাড়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। মনোযোগ দিয়ে তারা মানুষের কথা শোনেন। এলাকায় কি কি সমস্যা আছে এবং উন্নতির জন্য আরও কি কি করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে তারা স্থানীয় মানুষের কাছে জানতে চান ।এদিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি সহ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ।
৩০ টি বুথ বিশিষ্ট রামনগর হলো এই ব্লকের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে সাড়ে চার শতাধিক ভোটে এগিয়ে থাকে। ছোটখাটো কিছু অভিযোগ থাকলেও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মত ‘দিদির দূত’-দের এখানে বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়নি।
তবে পিপিডি উচ্চ বিদ্যালয় ও রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় উভয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেন। শিক্ষা বিষয়ক দাবিগুলি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে বিধায়ক আশ্বাস দেন বিধায়ক । অন্যান্য দাবিগুলি যাতে দ্রুত পূরণ হয় সেই বিষয়ে ব্লক নেতৃত্ব ও জেলা যুব সভাপতি উর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি । পরে তারা রামনগর বাজারে একটি পথসভা করে শাসকদল ।
বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন,’দিদির আদর্শ মেনে সারা বছর ধরে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দিদির চালু করা সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করি। এখন এসেছি দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচি পালন করতে। আশাকরি যেটুকু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো তাড়াতাড়ি দূর করব। লক্ষ্য একটাই কাজের মাধ্যমে সমস্ত মানুষের হৃদয়ে দিদির নাম, তৃণমূলের নাম গেঁথে দেওয়া ।’।