প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ মে : ‘কোভিডের’ ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে ।এমন অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সিপিএম নেতৃত্ব ।এই বিষয়ে তারা শনিবার মেমারি-১ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান ।ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে গিয়েছে মেমারির রাজনৈতিক মহলে ।
মেমারির সিপিএম নেতা সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিযোগে বলেন,“তৃণমূলের ওয়ার্ড কার্যালয়ে আধার কার্ডের নথির প্রতিলিপি জমা না করলে ’কোভিডের টিকার’ কুপন মিলবে না । এমনটা জানিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইকে করে প্রচার করা হয়েছে। প্রচারে এও বলা হয় ,’১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত যাঁরা করোনার টিকা নিতে চান, তাঁরা যেন আধার কার্ডের নথি নিয়ে তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিসে এসে দেখা করেন। তাঁদের নাম টিকার জন্যে নথিভুক্ত করা হবে“। অভিযোগ এই প্রচার শুনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অনেকে অনিচ্ছুক থাকলেও সেখানকার ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে তৃণমূলের লোকেদের হাতে আধারের নথি দিয়ে এসেছেন ।ফোন করে কুপনের জন্যে তাঁদের ডাকা হবে বলে ওয়ার্ড অফিস থেকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে ।“ অপর সিপিএম নেতা প্রশান্ত কুমার বলেন ,“কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা পাওয়ার জন্যে এই ভাবে ’আধার’ কার্ডের নথির প্রতিলিপি নেওয়াটা ‘অন্যায়’। তাই তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়ে নিরপেক্ষভাবে সরকারি উদ্যোগে প্রচার ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে টিকাদান কর্মসূচি করার জন্যে বলেছেন ।’
সিপিএম নেতৃত্বের তোলা এই অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ মেমারির তৃণমূল নেতৃত্ব । মেমারি পুরসভার উপ-পুরপ্রশাসক সুপ্রিয় সামন্ত এই বিষয়ে বলেন, “মানুষের সুবিধার জন্যেই ওয়ার্ড অফিস থেকে আধারের নথি জমা নেওয়া হচ্ছে। সেই তথ্য-সম্বলিত করে পুরসভায় জমা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নথি লিপিবদ্ধ করার পরে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে ফোন করে টিকা নেওয়ার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা মেমারি শহরের ‘পথসাথী’ তে গিয়ে টিকা নিয়েও আসছেন।
সুপ্রিয় বাবু বলেন , আশলে বিধানসভা ভোটে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পর এখন সিপিএম নেতারা নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে“।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হর্ষ ঘোষ বলেন, ‘তাঁর কাছে যে অভিযোগ পত্র জমা পড়ে সেটি তিনি মহকুমা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছেন ।’ মহকুমাশাসক (বর্ধমান দক্ষিণ) শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভ্যাকসিনের টিকা নিয়ে মেমারি পুরসভায় যে অভিযোগ উঠছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে ।’।