জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৫ মে : গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর। একটানা হেঁটে অথবা সাইকেল চালিয়ে ক্লান্ত পথিকের চোখ গাছের একটু শীতল ছায়া খুঁজে ফেরে। হয়তো তাদের উদ্দেশ্যে রাস্তার ধারে থাকা গাছের ছায়া ডাক দেয় – ‘দাঁড়াও পথিকবর, তিষ্ঠ ক্ষণকাল।’ ডাক শুনে থমকে যেত ক্লান্ত পথিক। গাছের ছায়ার নীচে ক্ষণিকের বিশ্রাম ক্লান্ত পথিকের ক্লান্তি দূর করত। শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিদের বড় আশ্রয়স্থল এই বৃক্ষগুলি। কিন্তু এসব এখন অতীত। জাতীয় সড়ক অথবা রাজ্য সড়ক – রাস্তা সম্প্রসারণের আড়ালে নির্মমভাবে সড়কের দু’পাশে থাকা বৃক্ষগুলি কেটে দেওয়া হলেও বৃক্ষরোপণে কোনো উৎসাহই লক্ষ্য করা যায়নি । যেকারণে তীব্র দাবদহের মধ্যে যাতায়ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ।
একটা সময় বর্ধমান থেকে এনএইচ ২ বি, গুসকরা থেকে বলগোনা, বুদবুদ, আউসগ্রাম, নতুনহাট- প্রতিটি রাস্তার উভয় দিকে সারি সারি গাছ ছিল। আজ সেখানে কার্যত মরুভূমির শূন্যতা বিরাজ করছে। ফলে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে ক্লান্ত পথিকের দু’দণ্ড বিশ্রাম পাওয়ার উপায় নাই। কিন্তু কারা এবং কি উদ্দেশ্যে কেটে ফেললো ওই সমস্ত গাছ ? কাটলেও নতুন বৃক্ষ রোপনে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ? যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলি বা প্রশাসনের তরফে এর কোনো সদুত্তর মেলেনি ।
পেশাগত কাজের জন্য এইসব রাস্তা ধরে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় গুসকরার সুমন ঘোষকে। তার বক্তব্য, রাস্তা চওড়া করার জন্য বৃক্ষচ্ছেদন করা যেতেই পারে। কিন্তু পরিবর্তে বৃক্ষরোপণ করতে অসুবিধা কোথায়? আমার মত যাদের এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয় গাছ না থাকার জন্য তাদের দুপুরের প্রখর তাপে সমস্যায় পড়তে হয়। একটুও ছায়া নাই। কখনো কখনো মনে হয় আর হয়তো বাড়ি ফিরতে পারবনা!’