দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ ডিসেম্বর : নবান্ন উৎসব উপলক্ষে ঘর ভর্তি আত্মীয়স্বজন । সকলে উৎসবের আনন্দে মসগুল । তারই মাঝে অজানা গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন গৃহকর্তা । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার দাওড়াডাঙ্গা গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম বনমালি বাগদি(৫৮) । শুক্রবার রাতে বলগোনা-গুসকরা সড়ক পথে রুটিন টহলদারি চালানোর সময় দাওড়াডাঙ্গা ও মাহাতা বাসস্ট্যান্ডের মাঝামাঝি এলাকায় ওই প্রৌঢ়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ । তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । শনিবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানায় এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন । পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ । পুলিশ ঘাতক গাড়িটির সন্ধান চালাচ্ছে ।
জানা গেছে,দাওড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বনমালি বাগদি জনমজুরির কাজ করতেন । তাঁর বাড়িতে আছেন স্ত্রী শিবু বাগদি, এক ছেলে,পুত্রবধু ও নাবালক নাতিনাতনি । বনমালিবাবুর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ।
জানা গেছে,শুক্রবার দাওড়াডাঙ্গা গ্রামে নবান্ন উৎসব ছিল । সেই উপলক্ষে বনমালিবাবুর দুই মেয়ে ও জামাইরা এসেছেন । বাড়ি ভর্তি আত্মীয়স্বজন ।মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে তাঁর বাবা ঘুরতে গিয়েছিলেন । তারপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি । এদিন সকালে তাঁরা ভাতার থানা থেকে ঘটনার কথা জানতে পারেন । এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন গ্রামবাসী সাগর পাল,অসীম পালরা । পাশাপাশি তাঁরা বলেন, ‘বনমালিবাবুর ছেলে শ্রমিকের কাজ করেন । বাবা ও ছেলের উপার্জনে অতিকষ্টে তাঁদের সংসার চলত । এখন বনমালিবাবুর মৃত্যুতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে গেল তাঁর পরিবারটি । তাই ওই হতদরিদ্র পরিবারটিকে সরকারিভাবে সাহায্যের ব্যাবস্থা করার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি ।’।