প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ এপ্রিল :
বেসরকারি ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে এক টাকাও ঋণ নেন নি।তবু কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অপবাদ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ব্যবসায়ী একরাম শেখ কে। ঘটনার সুবিচার পেতে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা নিবাসী ব্যবসায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুবিচার না মেলায় ব্যবসায়ী দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ।
ঋণ না নিয়েও ঋণী হওয়ায় ঘটনা জানাতে গিয়ে ব্যবসায়ী একরাম শেখ ওই বেসরকারি ফাইন্যান্স কোম্পানির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন।তিনি অভিযোগে জানান, ২০১৯ সালে বর্ধমানের একটি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নিতে যান। তখনই তার সিভিল চেক করার সময় চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় । তিনি দেখেন তার নামে তারই অজান্তে ১৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৭৯ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে, এমনটাই দেখাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঋণ তিনি কখনোই নেননি। বা কোন তার ডকুমেন্টস জমা দেননি এই কোম্পানিতে। অথচ কিভাবে এই টাকা তার নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে বলে দেখাচ্ছে সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না।
পাশাপাশি তিনি এও জানতে পারেন ২০১৪ সালে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে। সেই টাকার বর্তমানে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে “১ কোটি টাকায়“। ওই কোম্পানিতে বারবার চিঠি করেও কোন সদুত্তর পাননি। অভিযোগ ঋণদানকারী সংস্থা শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফিনান্স কোম্পানি লিমিটেডের বর্ধমান শাখা থেকে সংস্থার কেন্দ্রীয় অভিযোগের দপ্তর, সব জায়গায় জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। ওই সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে তাদের তরফে কিছু করার নেই। উল্টে অসহযোগীতার পাশাপাশি মিলেছে দুর্ব্যবহার। তাই বাধ্য হয়ে একরাম শেখ আদালতের দ্বারস্থ হন। বর্ধমান আদালতে থেকে এই কোম্পানির মুম্বাইয়ের হেড অফিসে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পাঠানো হয় বর্ধমান ব্রাঞ্চেও। কিন্তু কোম্পানির কোন প্রতিনিধি আসেননি বা তাদের পক্ষ থেকে কোন জবাব দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে ব্যবসার জন্য একরাম শেখ একটি গাড়ি কিনতে চান। অথচ কোটি টাকার বাকি রয়েছে এটা সিভিলে দেখানোর জন্য কোন কোম্পানি তাকে ঋণ দিচ্ছে না।তাই তিনি চাইছেন, ওই বেসরকারি ফাইন্যান্স কোম্পানি যে ভুল করেছে তা অবিলম্বে শোধরানোর ব্যবস্থা তাঁরা করুক। তা না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ী একরাম শেখের আইনজীবী সৌরভ রায় বলেন,আদালত থেকে চিঠি করা হলেও ওই কোম্পানি তার কোন উত্তর দেয় নি।এবার একরাম সেখ ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করবেন ।
গোটা বিষয়টি নিয়ে যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছে অভিযুক্ত ফাইনান্স কোম্পানি । ফাইনান্স অফিসে ম্যানেজারের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। এমনকি মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি ।।