এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২১ মে : গত বছরের আগস্টে অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা বলেছিল ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনকালের তুলনায় বেশি উদার হবে তারা । কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটছে । আফগান মহিলাদের উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে কট্টরপন্থী এক মুসলিম সংগঠনটি । প্রথমেই মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয়কে বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে । ষষ্ঠ শ্রেণির উর্ধে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ, বেশিরভাগ সরকারী সংস্থায় মহিলাদের কাজে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া মহিলাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে । বোরখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । এবার কোপ পড়েছে আফগানিস্তানের টিভি চ্যানেলে কর্মরত মহিলা সাংবাদিকদের উপর । তালিবান ফরমান জারি করে জানিয়েছে,টেলিভিশনে সম্প্রচারকালে মহিলা উপস্থাপকদের মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক ।
দেশের ভিতরে ভয়ে কেউ টুঁশব্দ না করলেও অনান্য দেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে তালিবান । কেউ কেউ বলছেন, তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের প্রধান মনোযোগ দেশের মহিলাদের ওপরেই সীমাবদ্ধতা রয়েছে । এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, ‘করোনা থেকে বাঁচাতে মানুষকে মাস্ক পরতে বলছে বিশ্ব। আর মহিলা সাংবাদিকদের মুখ দেখা থেকে বাঁচাতে মাস্ক পরাচ্ছে তালিবান। তালেবানের কাছে নারীরাই হচ্ছে অসুখ।’
গত ৭ মে তালিবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার নির্দেশে আফগানিস্তানে বোরখা ছাড়া মহিলাদের বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তালিবানি নির্দেশ কোনো মহিলা বাড়ির বাইরে মুখ না ঢাকলে তার বাবা বা নিকটতম পুরুষ আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হবে । অথবা সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে । তার আগে আফগানিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে মহিলাদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল তালিবান । এখন ১৪ বছরের উর্ধে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টের মতে,তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে আটটি মিডিয়া আউটলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । জার্নালিস্টস সাপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে,গত আট মাসে প্রায় নয়জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । শুধু তাই নয়, তাঁদের উপর রীতিমতো নির্যাতন চালিয়ে তালিবানরা ।।