এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ ডিসেম্বর : ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ধোপে টিকল না সুপ্রিম কোর্টে । জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন,’৩৭০(৩) ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগে রাষ্ট্রপতির দ্বারা ২০১৯ সালের আগস্টে আদেশ জারি করার জন্য কোনও সমস্যা নেই। সুতরাং, আমরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার প্রয়োগকে বৈধ বলে ধরে নিচ্ছি । ৩৭০ অনুচ্ছেদটি ইউনিয়নের সাথে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক একীকরণের জন্য বোঝানো হয়েছিল এবং এটি পৃথকীকরণের জন্য ছিল না । রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারেন যে ৩৭০ অনুচ্ছেদের অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে গেছে ।’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ১ এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ থেকে এটা স্পষ্ট যে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ।’
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বহু মামলা দায়ের করেছিলেন জম্মু কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লা,মেহেবুবা মুফতিরা। ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস ত্যাগী গুলাম নবি আজাদের মত নেতারা। জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় । প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও এই সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট ভারত সরকার কর্তৃক ৩৭০ ধারা বাতিলকে সমর্থন করা হয়েছে ।আদালতের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে গুলাম নবী আজাদ সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন,’৩৭০ ধারা বাতিল করা একটি ভুল ছিল । বাতিলের আগে জম্মু- কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলিকেও জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল। আমরা এই রায়ে হতাশ ।’
এদিকে রায় ঘোষণার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে । সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরেও রাখা হচ্ছে কড়া । কোনো প্রকার সাম্প্রদায়িক বা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মত উসকানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ।।