এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ জুলাই : কসবার ল’কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় মুখে কুলুপ! এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা নিয়ে অনীহা ! কিন্তু সিঙ্গারা, জিলেবি এবং লাড্ডুর মতো খাদ্যপণ্যের উপর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সতর্কতার ‘গুজবে’ তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া দিয়ে বসলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । আজ সন্ধ্যা ৬:২২ নাগাদ মমতা ব্যানার্জি এক্স-এ এই বিষয়ে লিখেছেন,’কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না।আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।’
আসলে,কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিঙ্গারা, জিলেবি এবং লাড্ডুর মতো খাদ্যপণ্যের উপর স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এটিকে সিগারেটের মতো ক্ষতিকারক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে AIIMS নাগপুর এই আদেশ নিশ্চিত করেছে এবং শীঘ্রই তাদের ক্যান্টিনের পাশাপাশি জনসাধারণের স্থানে সতর্কতা বোর্ড স্থাপন করা হবে । এই খবরে মানুষকে ভাবতে বাধ্য করেছে যে সরকার কি সত্যিই ভারতীয় স্ট্রিট ফুড নিষিদ্ধ করতে চলেছে?
কিন্তু কেন্দ্র সরকারের ফ্যাক্ট চেক এজেন্সি PIB ফ্যাক্ট চেক এই খবরটিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি @MoHFW_INDIA অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।পিআইবি স্পষ্টভাবে বলেছে যে একটি পরামর্শ জারি করা হয়েছে যাতে খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় খাবারের সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই৷
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব পূণ্য সলিলা শ্রীবাস্তবের ২১/০৬/২০২৫ তারিখের নির্দেশিকাটি পোস্ট করে পিআইবি লিখেছে,’সাধারণ পরামর্শটি সকল খাদ্যপণ্যে লুকানো চর্বি এবং অতিরিক্ত চিনি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য একটি আচরণগত পরামর্শ, বিশেষ করে কোনও নির্দিষ্ট খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে নয়। পরামর্শটি কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর বিকল্প এবং উদ্যোগের জন্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবনযাত্রার জন্য অতিরিক্ত তেল এবং চিনি কমাতে স্বাস্থ্যকর পছন্দ করার জন্য মানুষকে আহ্বান জানায়। এটি ভারতের সমৃদ্ধ স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতিকে লক্ষ্য করে নয়।’।

