বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে- দাবি অম্বিকেশ মহাপাত্রর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ জানুয়ারি : বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে। এটা রুখতে বিচার ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন দরকার বলে দাবি করলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ।পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির একাদশ রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমানের নীলপুর মোড়ে। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অম্বিকেশ মহাপাত্র এমনটাই দাবি করেন ।
নীলপুরের সভা থেকে অম্বিকেশ মহাপাত্র আরও বলেন,’আমি কার্টুন আঁকিনি। শেয়ার করেছিলাম। আগামী দিনেও শেয়ার করবো। এনিয়ে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না। কার্টুন সাংস্কৃতিক জগতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেক জটিল বিষয় অতিসংক্ষেপে মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়। যারা পড়াশোনা জানে না তারাও সহজে বুঝতে পারে।এই জিনিস দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, এ জিনিস থাকবে।আক্রমণ করে একে থামানো যাবে না ।’
কার্টুন কাণ্ডে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এনে
অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন,’কথা বলার অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দুস্কৃতিদের সঙ্গে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেছিল।বেআইনি পদক্ষেপ করে মামলাকে দীর্ঘায়িত করেছিল। যাতে কোনভাবেই মামলার সুরাহা বা নিস্পত্তি না হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে (জজকোর্টে) আবেদন করার ভিত্তিতে মামলার নিস্পত্তি হতে চলেছে ।’
তিনি আরও বলেন,’আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফৌজদারী মামলায় নিস্কৃতি পেলেও রাজ্যবাসী যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে সেখান থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছেনা। মা মাটি মানুষের সময়কালে কোন প্রশ্ন বা সমালোচনা করা যাবে না, সরকারকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা যাবে না। অথচ এটা ভারতের সংবিধান প্রনীত অধিকার। রাজ্য সরকারের পুলিশ বাহিনী দুস্কৃতিদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য ব্যাপি এই পদক্ষেপ কায়েম রেখেছে।তার ফলে শিলাদিত্য চৌধুরী, সানিয়া ভরদ্বাজ, সুদীপ্ত গুপ্তের মতো ঘটনা ঘটে, রাজ্যে খুন হয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়াই জারি রাখতে হবে।’
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অম্বিকেশ মহাপাত্র তিনি জানান, পঞ্চায়েত সুস্থ ভাবে না করার জন্য শাসকদল দুস্কৃতিদের কাজে লাগাবে। রাজ্যবাসী সেটা বুঝতে পেরেছেন। তাই পঞ্চায়েত রক্ষাকরার জন্য তাঁদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।
সভায় অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ছাড়াও উপস্থিত সারা ভারত কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা, প্রাক্তন সাংসদ সৈদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অম্বিকেশ মহাপাত্রের বক্তব্যকে কোন গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু। তিনি বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন।
আগামী পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোটেও
বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই জয়যুক্ত করবেন বলে ঠিকই করে রেখেছেন। তাই কে কি বললো তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কি এসে যায় না।।