এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ জুন : পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য বছরের বাজেট পেশ করেছিলেন গত ৮ ফেব্রুয়ারী । তার ঘোষিত মোট বাজেট ছিল ৩,৬৬,১৬৬ কোটি টাকা । ২০২৪-২৫ সালে রাজস্ব ঘাটতি জিএসডিপির ১.৭ শতাংশ (৩১,৯৫২কোটি টাকা) অনুমান করা হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ সালের সংশোধিত অনুমানের (জিএসডিপির ১.৭ শতাংশ) অনুরূপ। কিন্তু এখন রাজ্যের ঘোষিত বাজেটে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি । বিজেপি নেতা অমিত ঠাকুর রাজ্যের বাজেট বিবৃতির কপির স্ক্রীন শর্ট নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন গণশিক্ষা ও গ্রন্থালয়ে ৪০৪ কোটি, ইলেকট্রনিক এবং আইটি ২১০ কোটি, মাদ্রাসা শিক্ষায় ৫৫৩০ কোটি । বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্যের কথায়, ‘মুসলিম ভোট কেনার জন্য বাজেট’ ।
অমিত ঠাকুরের দেওয়া নথি অনুযায়ী, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দ্বারা গত ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে পেশ করা চলতি অর্থবছরে যেখানে গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার বাজেট ৪০৪ কোটি টাকা, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি বাজেট ১০৪ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র শিল্প কারখানার বাজেট ১২৬২ কোটি টাকা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বাজেট ৮৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেখানে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৫৩০.৬৫ কোটি টাকা । উল্লিখিত বাকি ক্ষেত্রের মোট বাজেট অন্তর্ভুক্ত করলেও মাদ্রাসা বাজেটের তুলনায় কম।
রাজ্যের বাজেট নিয়ে অমিত মালব্য টুইট করেছেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষায় ৫,৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মুসলিম ভোট কেনার জন্য বাজেট বরাদ্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি শেখ শাহজানা, সওকত মোল্লা,জাহিঙ্গীর খানের মতো অপরাধীদের এবং অন্যদের মধ্যে এবং সন্দেহভাজন মাওলানাদের মাধ্যমে চালানো হবে, যারা তহবিল ব্যবহার করবে। যাতে মুসলমানরা টিএমসিকে ভোট দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষামোদের রাজনীতি সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা ভারতজুড়ে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ এবং দারিদ্রদের মধ্যে রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে যখন রাজ্যে কংগ্রেস, বাম এবং এখন টিএমসি ক্ষমতায় রয়েছে। কখনও বিজেপি নয় ।
মেয়েদের স্কুলছুট হওয়া এবং বাল্যবিবাহে বাধ্য করার ঘটনায় রাজ্যটি এখনও সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। নৈমিত্তিক শ্রমে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি এবং আনুষ্ঠানিক চাকরিতে সবচেয়ে কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহিরাগত অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শতাংশ মুসলিম।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে অবৈধ অনুপ্রবেশ স্থানীয় মুসলমানদের তাদের জমি এবং অন্যান্য অধিকার হারাচ্ছে। পাচার হওয়া নারীদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকার পরে এবং তাদের ‘কল্যাণে’ কাজ করছেন বলে দাবি করেছেন । আসল সত্য হল যে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের অপরাধীদের অর্থায়ন করেন, যারা তার ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করে। এর বেশি কিছু না।’।