এইদিন ওয়েবডেস্ক,বগুড়া(বাংলাদেশ),২৪ এপ্রিল : মানসিক প্রতিবন্ধী শালকের ফুলশয্যার রাতে নববধুকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে । বাংলাদেশের বগুড়া জেলার ধুনট এলাকার ঘটনা । এনিয়ে ধুনট থানায় ননদের স্বামী আলমগীর হোসেনসহ (৩০) চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছেন নির্যাতিতার বাবা । অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় । পাশাপাশি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার পর আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় ।
পুলিশ সুত্রে খবর,ধুনটেই বাপের বাড়ি নির্যাতিতার । তাঁর বাবা প্রান্তিক কৃষক । হতদরিদ্র পরিবার । গত ২৩ মার্চ এলাকার এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় । বিয়ে শেষে বরপক্ষ রাতেই নববধূকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায় । রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বাসরঘরে যায় স্বামী । তার আগে ভগিনীপতি আলমগীর হোসেন শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করান । কিছুক্ষণ পর গৃহবধূ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন । আর সেই সুযোগে বধুকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে আলমগীর । এদিকে সকালে ঘুম ভাঙতেই বধু দেখেন নগ্ন অবস্থায় তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঘুমচ্ছে ননদের স্বামী । একই ঘরে তখন অন্য বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছেন তাঁর স্বামী । এই দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান বধু ।
জানা গেছে,সকালেই বিষয়টি স্বামী,শ্বশুর ও শাশুড়িকে জানালে তারা বিশ্বাস করেননি উলটে তারা সকলে মিলে বধুকে মারধর করে বলে অভিযোগ । শ্বশুরবাড়ির এই মনোভাবে সন্দেহ হয় বধুর । তবুও তিনি টুঁ শব্দ করেননি । এরপর ২৫ মার্চ রাতেও আলমগীর হোসেন একই কায়দায় ধর্ষণের ফন্দি আঁটলে বধু ফোন করে বাপের বাড়িতে ঘটনার কথা জানিয়ে দেয় । পাশাপাশি তিনি জানান,এই ঘটনায় তাঁর স্বামী,ননদসহ শ্বশুরবাড়ির সকলেই ইন্ধন আছে একথা শুনে রাতেই বধুকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বাপের বাড়ির লোকজন ।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ধুনট থানায় আলমগীর হোসেন,বধুর স্বামী, শ্বশুর,শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেন নির্যাতিতার বাবা । ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তরা পলাতক । তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে ।।