এইদিন ওয়েবডেস্ক, ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১০ অক্টোবর : বাবার ইচ্ছা ছিল পাড়ার সকলে মিলে যৌথভাবে দুর্গাপুজো করবেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কারণে সেই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। স্বর্গীয় বাবার স্মৃতিতে পাড়ার বারোয়ারি দুর্গামন্দির নির্মাণ করলেন ছেলে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার হাসপাতাল মোড় পাড়ায় ‘ইচ্ছাপূরণ’ কমিটির নবনির্মিত দুর্গামন্দিরের শনিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। জানা যায় ইচ্ছাপূরণ কমিটির সভাপতি বিপ্লব দত্ত তার বাবা স্বাধীন দত্তর স্মৃতিতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই বারোয়ারি দুর্গামন্দির নির্মাণ করে দিয়েছেন।শনিবার মহাপঞ্চমীর দিন হোমযজ্ঞ করে প্রথমে মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। তারপর পুজোর উদ্বোধন করা হয়।
ভাতার বাজারের অদুরে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনে পাড়ায় কয়েকটি পরিবারের বসবাস। এই কয়েকটি পরিবার মিলে বছর চারেক ধরে শুরু করেন সর্বজনীন দুর্গাপুজো। পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে এক কাহিনী।
স্থানীয়রা জানান হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে কুলনগর গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লববাবুর বাবা স্বাধীন দত্ত। তিনি ১৯৯৮ সালে কুলনগর গ্রাম থেকে উঠে এসে হাসপাতাল মোড়ে বসবাস শুরু করেন। বিপ্লব দত্ত বলেন,”এই পাড়ায় আসার পর বাবার ইচ্ছা ছিল পাড়ার সকলকে একজোট করে বারোয়ারি দুর্গাপুজো করবেন। কাজ অনেকটা এগিয়েছিল। কিন্তু সেইবছর বাবা দুর্ঘটনায় মারা যান। সেই থেকে পরিকল্পনা চাপা পড়ে যায়। তারপর পাড়ার সকলে মিলে ২০১৮ সাল থেকে পুজো শুরু হয়।’
ইচ্ছাপূরণ দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক অনুপ পাল বলেন,” আমাদের সভাপতি বিপ্লব দত্ত ও তার পরিবার মূলত উদ্যোগী হয়ে এমন বারোয়ারি দুর্গামন্দির নির্মাণ করে দিয়েছেন। পুজোয় আমাদের পাড়ার সকলে মিলে যৌথ পরিবারের মতন কয়েকটা দিন কাটানো হয়। এদিন মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ভোগের ব্যবস্থা রাখা হয়। স্থানীয় এলাকা ছাড়াও আশপাশের গ্রামের অনেকে সামিল হন। বিপ্লববাবুর মা অর্চনাদেবী বলেন,” আমার স্বামীর ইচ্ছাপূরণ করতেই আমার ছেলে এই উদ্যোগ নিয়েছে। এটা মা হিসাবে আমার কাছে গর্বের ।’।