এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ মে : হলোগ্রাম বিহীন টোটো ধরপাকড় শুরু হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে । তারই প্রতিবাদে কংগ্রেস সমর্থিত টোটোচালক সংগঠনের সভাপতি তথা কাটোয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা এবং টোটোচালকদের পরিবারের লোকজন মিছিল করে এসে কাটোয়া আঞ্চলিক পরিবহন বিভাগের অফিস ঘেরাও করে । শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অরুনাভ শর্মা ও কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় হলোগ্রামের জন্য ফের ইচ্ছুক টোটোচালকরা পৃথকভাবে আবেদন করতে পারবেন বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
প্রশাসন সূত্রে খবর,কাটোয়া শহরের মধ্যে প্রায় ১১০০ থেকে ১১৫০ টি চোটো চলাচল করত। কিন্তু শহরের মধ্যে টোটোর সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ার ফলে যানজট সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করলে টোটোগুলির উপর রাশ টানতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন । এরপর পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে টোটোগুলিকে গত বছর থেকে হলোগ্রাম দেওয়া শুরু হয় । কাটোয়া শহরে মোট ৭৮৩ জন টোটোচালককে সম্প্রতি হলোগ্রাম দেওয়া হয় বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,সপ্তাহ খানেক আগেই কাটোয়া প্রশাসন ঘোষণা করেছিল যে হলোগ্রাম বিহীন কোনো টোটোকে কাটোয়া শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না । বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হতেই আজ শুক্রবার সকাল থেকে হলোগ্রাম বিহীন টোটো ধরপাকড় শুরু করে প্রশাসন । এরপরেই হলোগ্রাম বিহীনদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন কংগ্রেস নেতা রনজিৎ চ্যাটার্জি । তার অভিযোগ যে রাজনৈতিক রঙ দেখে হলোগ্রাম দিচ্ছে পুরসভা এবং প্রশাসন । তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক রঙ দেখে ২৩০ জন টোটোচালককে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই পরিবারগুলির রুজিরুটি বন্ধ হয়ে গেছে । হলোগ্রাম বিহীন টোটো ধরার নামে পুলিশ দমনপীড়ন শুরু করেছে ।’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাটোয়া আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অরুনাভ শর্মা । তিনি বলেন,’টোটোচালকরা হলোগ্রামের জন্য যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাদের ভেরিফিকেশনের পর যোগ্যরা সবাই হলোগ্রাম পেয়েছেন। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কোনও রাজনৈতিক রঙ দেখা হয়নি।’
এদিকে শহরে টোটো সীমিত হয়ে যাওয়ায় সিঁদূরে মেঘ দেখছে কাটোয়া শহর ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের আশঙ্কা এতে তাদের পণ্যপরিবহনে প্রভাব পড়বে । তাই তারা পণ্যপরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছে । তবে এই বিষয়ে তারা কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানা গেছে । যদিও কাটোয়া আঞ্চলিক পরিবহন অফিস ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর ফের শুরু হয় হলোগ্রাম বিহীন টোটো ধরপাকড় অভিযান । এখন দেখার বিষয় নতুন করে আবেদনের পর কতজনকে হলোগ্রাম দেন কাটোয়া মহকুমা শাসক ।।