দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৫ নভেম্বর : গভীর রাতে নিঃশব্দে আনতে হয় ঘট । রাতেই দিঘিতে জাল ফেলে মাছ ধরে ভোগ দিতে হয় দেবীকে । প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এই রীতি চলে আসছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামশোর গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কালীপুজোয় । পারিবারিক পূজো হলে গ্রামবাসী এই পূজোয় স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করেন । গ্রামবাসীদের জন্য ভোগের আয়োজন করাও হয় ।
বামশোর গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কূলদেবতা নারায়ন । সারা বছর ধরে নারায়নের নিত্যসেবা হয় । বর্তমানে ৬ জন শরীক মিলে নিত্যসেবার পালা চালান । এর পাশাপাশি দুই শতাধিক বছর আগে কালীপূজোর সূচনা করেন রামধর চট্টোপাধ্যায় নামে ওই পরিবারের এক সদস্য । পরিবারের নবীন সদস্য ডাঃ গৌতম চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ মধূসুদন চট্টোপাধ্যায়রা বলেন,’বাবা-ঠাকুরদার কাছ থেকে শুনে আসছি আমাদের ওই পূর্বপুরুষ দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন । এখন পরিবারের শরিকরা মিলে পালা চালানো হয় ।’
পরিবারের প্রবীন সদস্য দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান,পুরনো নিয়ম মেনেই এখনও পূজো হয় । গভীর রাতে নিঃশব্দে খিড়কির পুকুর থেকে ঘট আনতে হয় । এছাড়া ব্রাহ্মন পুকুর নামে একটি দিঘি থেকে রাতে জাল ফেলে মাছ ধরে সেই মাছ রান্না করে দেবীকে ভোগ দেওয়া নিয়ম । অমাবস্যার দিনে গভীর রাতে পুজো শুরু হলে পরের দিন ভোর পর্যন্ত পূজো চলে ।’ তিনি জানান, বর্তমানে পরিবারের সিংহভাগ সদস্য কর্মসুত্রে বাইরে থাকেন । তবে দেবীর বাৎসরিক পূজোয় সকলে গ্রামে ফিরে আসেন । যৌথ পরিবারের মত সকলে মিলে এক জায়গায় খাওয়া দাওয়া হয় ।।