এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৯ নভেম্বর : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর সংখ্যাগুরু মুসলিমদের নিপিড়ন অব্যাহত আছে । এবারে শতভাগ হিন্দুদের গ্রামের কলেজে মাইক লাগিয়ে আযান দেওয়ার অন্যায় আবদার তুলেছিল ইসলামি জিহাদিরা । আর তাদের সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় কলেজের হিন্দু অধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি বাংলাদেশের মাদারীপুরের ডাসার (পূর্বের নাম কালকিনি) উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যায়ের । কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দের পদত্যাগের মুচলেকায় স্বক্ষর করতে বাধ্য করার একটা ভিডিও হিন্দু নিউজ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটা পেজে শেয়ার করা হয়েছে । স্বাক্ষর করার সময় অধ্যক্ষকে ঘিরে থাকতে দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষী ও জিহাদিদের ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,মাদারীপুরের ডাসার (পূর্বের নাম কালকিনি) উপজেলার শশিকর নামে ওই গ্রামেই রয়েছে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় । গ্রামটি শতভাগ হিন্দু অধ্যুষিত । যদিও দূর-দুরান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিন্ন ধর্মী ছাত্ররাও এখানে আসে এবং হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। অভিযোগ যে হিন্দুদের উদার নীতির কারনে মুসলিম ছাত্ররা পড়াশোনা করার অছিলায় নিজেদের ধর্ম বিস্তারের উদ্দেশ্যে কলেজে প্রথম নামাজ পড়া দিয়ে শুরু করে । ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা মহান সাজতে ও সম্প্রীতি দেখাতে কলেজ ভবনের একটি অংশে তাদের নামাজ পড়ার জন্য একটা ঘর দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ক্রমে মুসলিম ছাত্ররা অন্যদেরও দাওয়াত দিতে শুরু করে । কিছুদিন পর তাদের চাহিদা অনুযায়ী নামাজের রুমে সাউণ্ড বক্সও দেওয়া হয় । এরপর আরও বেশি ‘সওয়াব’ অর্জনের লক্ষ্যে আশপাশের গ্রামগুলিতে এবং অনলাইনে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনদের সাথে নিয়ে এই শতভাগ হিন্দুর গ্রামে ধর্ম বিস্তারের ষড়যন্ত্র তৈরী করে । অবশেষে বেশ কিছু মুসলিমদের জড়ো করে আজান দেওয়ার জন্য কলেজে মাইক লাগানোর জন্য অধ্যক্ষকে চেপে ধরে ।
কলেজ প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে বলে, কিন্তু তারা মানতে নারাজ। শুরু হয় উত্তেজনা ও হিন্দু ছাত্রদের সাথে তাদের বিরোধ।গ্রামের ও কলেজের লোকজনদের বিরুদ্ধে ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি ও ধর্ম অবমানার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অনলাইনে উস্কানী ও ধর্ম অবমাননার ব্যানার প্রচার করে সমাবেশের ডাক দেয়। সামাজিক মাধ্যমে সেসব ছড়াতে থাকে। সবাই সওয়াবের ভাগীদার হতে অংশ নেয় এই গুজবে । সেটার জের ধরে মাদারীপুরের সমন্বয়ক দাবী করে মাইক লাগাতে আসে তাদের কিছু অনুসারী। তারা মাইক লাগানোর চেষ্ঠা করে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তেজনার খবর পেয়ে কলেজে আসে পুলিশ বাহিনী । অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া হয় ইউএনও এর কার্যালয়ে। সেখানে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীরা অধ্যক্ষকে বলে যে “হয় আামীকাল আপনি মাইক লাগাবেন অথবা পদত্যাগ করবেন” । এই অন্যায় দাবি মানতে না পেরে অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ পদত্যাগ করে চলে আসেন ।’।