এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৪ সেপ্টেম্বর : এবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এক জার্মান গায়িকার দ্বারা সংস্কৃত ভাষায় গাওয়া শিবস্তোত্র শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ওই গায়িকার নাম ক্যাসমি (Cassme) । ২১ বছরের ওই তরুনী জন্মগত অন্ধ । তার নিখুঁত সংস্কৃত ও কন্নড় ভাষায় উচ্ছারণ এবং গায়কী ভঙ্গিতে অগনিত ভারতবাসী মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেছে ।
জার্মান তরুনী ক্যাসমির গাওয়া গান “এক্স” হ্যান্ডেলে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,’প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,’ভারতীয় সংস্কৃতি ও ভারতীয় সঙ্গীত এখন বিশ্বজনীন হয়ে গেছে । গোটা বিশ্বের মানুষের এর প্রতি আকর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে । একটা ছোট্ট মেয়ের একটা অডিও আপনাদের শোনাচ্ছি ।’
ওই তরুনীর দ্বারা নিখুঁত সংস্কৃত ভাষায় গাওয়া মহাদেবের স্তুতি মন্ত্র শোনানোর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গান শুনে আপনারা বিস্মিত হয়ে গেছেন না? কি মিষ্টি আওয়াজ! প্রতি শব্দের অভিব্যক্তি দেখে ঈশ্বরের প্রতি ওর প্রেম আমরা অনুভব করতে পারি । এখন আমি যদি বলি,এই মধূর আওয়াজ জার্মানির একটা মেয়ের, তাহলে আপনারা খুব অবাক হয়ে যাবেন ।’
প্রধানমন্ত্রী ওই গায়িকার পরিচয় দিয়ে বলেন,’এই মেয়েটির নাম ক্যাসমি (Cassme)। ২১ বছরের মেয়েটি এখন ইনস্ট্রাগ্রামে খুব জনপ্রিয় হয়ে গেছে । জার্মানির বাসিন্দা ক্যাসমি কখনো ভারতে আসেনি । কিন্তু মেয়েটি ভারতীয় সঙ্গীতের ভক্ত । যে ভারতকে কখনো দেখেনি,তার ভারতীয় সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ খুবই অনুপ্রেরণাদায়ী৷ ক্যাসমি জন্ম থেকেই দেখতে পায়না । কিন্তু কঠিন পরিস্থিতি তাকে অসাধারণ উপলব্ধি থেকে আটকাতে পারেনি । শৈশব থেকেই সঙ্গীত ও সৃজনশীলতার প্রতি মেয়েটি আকর্ষণ অনুভব করত । এই বিষয়ে মেয়েটির আবেগ এতটাই ছিল যে শৈশবেই মেয়েটি গান শিখতে শুরু করে দেয় । মাত্র ৩ বছর বয়সে আফ্রিকান ড্রামিং শুরু করে দিয়েছিল । ভারতীয় সঙ্গীতের সাথে পরিচয় ৫-৬ সাল আগে হয়েছে । ভারতীয় সঙ্গীতের প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়েছিল যে ভারতীয় সঙ্গীত পুরোপুরি আত্মসাৎ করে ফেলে ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,’মেয়েটি তবলা বাজানোও শিখেছে । সবচেয়ে অনুপ্রেরণার বিষয় হল সে অনেক ভারতীয় গানে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে । সংস্কৃত,হিন্দি,মালয়ালম, তামিল, কন্নড়, আসামি, বাংলা,মারাঠি,উর্দু প্রভৃতি ভাষার গান রপ্ত করে ফেলেছে মেয়েটি । আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন? কাউকে যদিও অন্য কোনো ভাষায় ২-৩ লাইন বলতে বলা হয় তাহলে কত সমস্যায় পড়তে হতে হয় তাকে । কিন্তু ক্যাসমির কাছে এটা কোনো ব্যাপারই নয় ।’
এরপর ওই জার্মান তরুনীর দ্বারা কন্নড় ভাষায় গাওয়া একটি গান শোনানোর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের প্রতি জার্মানির ক্যাসমির এই ভালোবাসাকে আমি হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই । মেয়েটির এই প্রচেষ্টা প্রত্যেক ভারতীয়কে অবিভূত করবে ।’।