এইদিন ওয়েব ডেস্ক,ভাতার,১২ নভেম্বরঃ কন্যাদায় থেকে উদ্ধার পেতে আত্মীয়বাড়িতে লুকিয়ে ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা মা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কাজ হাসিল হল না। ছাদনাতলায় হাজির হয়ে ওই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দিল প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ঘটনা। সোমবার রাতে ভাতারের শিলাকোট গ্রাম থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে ভাতার থানার পুলিশ।মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হল। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে তাকে হাজির করানো হবে বলে বলে বর্ধমান চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ভাতার থানা এলাকার মান্দারবাটি গ্রামে বাড়ি ওই নাবালিকা ওড়গ্রাম হাইমাদ্রাসায় নবম শ্রেনীর ছাত্রী। দুই বোনের মধ্যে সেই বড়। ছোট বোন সপ্তম শ্রেনীতে পড়ে। বাবা-মা দু’জনেই জনমজুরির কাজ করেন। কোনওরকমে সংসার চলে।
ওই পরিবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার সিমডাল গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের ঠিকঠাক করে। সোমবার রাতে বিয়ে ছিল। মান্দারবাটি গ্রাম থেকে ভাতারের শিলাকোট গ্রামে এক আত্মীয়বাড়িতে এসে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। যাতে গ্রামের লোকজনদের মধ্যে জানাজানি না হয়।
তবে সফল হয়নি নাবালিকার পরিবার। প্রশাসনের কাছে খবর চলে আসে। খবর পেয়ে শিলাকোট গ্রামে হানা দেয় ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশ জানায় তখন সবে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল । সেই অবস্থায় বিয়ে রুখে দেওয়া হয়।
মেয়েটির বাবা মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়ের বিয়ে দেবেন না।মেয়েটি জানায় সে পড়াশোনা করতে চায়।