দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৫ নভেম্বর : শরীরে কেবলমাত্র একটি বিছানার চাদর মোড়া ৷ খোলা মাঠের মধ্যে কনকনে ঠান্ডায় শুয়ে কাঁপছিল মানসিক ভারসাম্যহীন মধ্য বয়সী এক মহিলা । নজরে পড়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়ানদিঘি এলাকার বাসিন্দা সৌভিক ভট্টাচার্য নামে এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের । মহিলাকে ওই অবস্থায় দেখে প্রথমে তিনি পূর্ব বর্ধমানের চাইল্ডলাইন এবং পরে নারী ও জেলা শিশুকল্যান দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন । শেষে খবর পেয়ে, দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ।
জানা যায়,দেওয়ানদিঘি থানার পিলখুড়ী গ্রামে বাড়ি সৌভিক ভট্টাচার্যের । তিনি ভাতারের স্বর্ণচালিদা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন । অন্যদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার নাম প্রসাদী মাজি । তাঁর বাড়ি ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে । দুর্গাপুজোর সময় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে চলে আসেন প্রসাদী । তারপর পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ৷ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই মহিলাকে পিলখুড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মাঠের মধ্যে শুয়ে থাকতে দেখেন সৌভিকবাবু । তিনি বলেন,’খোলা আকাশের নিচে এভাবে শুয়ে থাকতে দেখে আমার মনে হয়েছিল মহিলা অসুস্থ । কয়েকবার ডাকাডাকি করি, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাইনি । তখন তাঁর মুখের চাদর সরিয়ে দেখি তিনি তাকাচ্ছেন । অনেক জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি মহিলার কয়েকদিন খাবার জোটেনি । তিনি নাম ঠিকানাও বলেন । প্রথমে মহিলার কিছু খাবার ব্যবস্থা করি । তারপর বিষয়টি চাইল্ডলাইন এবং নারী ও শিশুকল্যান দফতরে জানাই । শেষে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ওই মহিলাকে ।’
জানা গেছে,বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতে চিকিৎসার পর শনিবার সকালে প্রসাদী মাজিকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তাঁর দিদি বাসন্তী মাজি এদিন তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান ।।