দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৪ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কোগ্রাম গ্রামের লোচনদাস মন্দিরে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করল পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিতলের তৈরি একটি বড় গামলা এবং বেশ কিছু থালা ও বালতি । এছাড়া পিতলের তৈরি দুটি গোপাল মূর্তি, একটি পিতলের সিংহাসন এবং কাঁসা পিতলের অন্যান্য পূজার সামগ্রীসহ একটি সোনার চেইন ও রুপোর অলঙ্কার উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
প্রসঙ্গত,পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাচীন জনপদগুলির মধ্যে অন্যতম মঙ্গলকোট । এলাকায় দুটি সতীপীঠ- উজানি ও যোগাদ্যা ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য মন্দির । আর সতীপীঠসহ ওই সমস্ত মন্দিরগুলিতে প্রায়ই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে । এমনই এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মঙ্গলকোটের কোগ্রামের লোচনদাস মন্দিরে । পরের দিন মন্দিরের এক সেবাইত প্রসাদ ঘোষ এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগকারী নিজেই এক বহিরাগত ব্যক্তির প্রতি সন্দেহপ্রকাশ করে পুলিশকে জানান । তখন তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধনগোপাল দাস নামে বীরভূমের রামপুরহাটের উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতকে জেরা করে পুলিশ কাটোয়ার শ্রীখণ্ড হাটতলার বাসিন্দা নন্দন নাথের নাম জানতে পারে । এরপর গত ২২ নভেম্বর রাতে নিগন বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,ধৃতকে কাটোয়ার এসিজেএম আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালে বিচারক ২ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন । এরপর তাকে জেরা করতেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয় । শুধু তাইই নয়,পুলিশের জেরায় ধৃত দুষ্কৃতী জানিয়েছে মঙ্গলকোট ছাড়াও ইতিপূর্বে সে ভাতার ও কাটোয়া এলাকার একাধিক মন্দিরে চুরি করেছে । চুরি যাওয়া সামগ্রী সে কোথায় বিক্রি করত এবং এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ । হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে পাঠানো হয় ।।