দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ জুলাই : নিজের মা’কে বাঁশ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ । ঘটনার পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে গাঢাকা দিয়েছিল ভাতার থানার দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা বাপি বাগদি নামে ওই যুবক । অবশেষে বুধবার রাতে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ।
জানা গেছে,নিহত মহিলার নাম ঝর্ণা বাগদি । ঝর্ণাদেবী ও তাঁর স্বামী আনন বাগদি দু’জনেই জনমজুরির কাজ করতেন । তাদের তিন ছেলে। তিনজনেই বিবাহিত । বড় ছেলে বাপি । একই বাড়িতে পৃথক সংসার চারটি পরিবারের । বাপি একটি ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করত । কর্মসূত্রে তাকে বাইরে থাকতে হত । মাঝেমধ্যে সে বাড়িতে আসত । ঘটনার কয়েক দিন আগে সে বাড়ি ফিরেছিল ।
ঘটনার দিন একজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ঘরে বসেই মদ্যপান করছিল বাপি । বাপির স্ত্রী অপর্না বাগদি তাকে নিষেধ করে । কিন্তু তার কথায় কান দেয়নি বাপি । ইতিমধ্যে মাঠের কাজ সেরে দুপুর নাগাদ বাড়ি ফেরেন ঝর্ণাদেবী ও তাঁর স্বামী । বড় ছেলেকে ঘরে বসে মদ্যপান করতে দেখে আপত্তি করেন ঝর্ণাদেবী । এনিয়ে ছেলের সঙ্গে তাঁর বচসাও হয় । তারই মাঝে একটা বাঁশ দিয়ে মা’কে নির্মমভাবে পেটাতে শুরু করে বাপি । গুরুতর জখম হন ঝর্ণাদেবী । পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঝর্ণাদেবীকে তাঁকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । কিন্তু চার দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ঝর্ণাদেবীর । ওইদিনই আনন বাগদি তার ছেলের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় একটা এফআইআর রজু করেন । এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই চম্পট দেয় ঘাতক ছেলে ।
জানা গেছে,বুধবার রাতে বাড়ি ফিরেছিল বাপি । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভাতার থানার পুলিশ । আজ বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে ।।