এইদিন ওয়েবডেস্ক,সন্দেশখালি,২০ ফেব্রুয়ারী : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস নিরে রিপোর্টিং করা রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক নিয়ে সন্তু পানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশের জওয়ানরা সাংবাদিককে কার্যত টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় । টিভিতে লাইভ সম্প্রচার চলার সময় সন্তু পানকে গ্রেফতার ও টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । টেনে নিয়ে যাওয়ার আগে দুই পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথপোকথন করতে দেখা যায় সন্তুকে । সন্তু ক্যামেরার সামনে জানান ওই দুই পুলিশ আধিকারিকের নাম প্রশান্ত দত্ত ও সাব ইনস্পেকটর শান্তনু পাল । তারা গ্রেফতারির কথা হলে তাদের সঙ্গে যেতে বলছেন । কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করলে তখন কয়েকজন র্যাফের জওয়ান সন্তুকে কার্যত টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় ।
এদিকে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লিখেছেন,”রাতের অন্ধকারে সন্দেশখালিতে রিপাবলিকের প্রতিনিধি সন্তু পানকে টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করল পুলিশ। তীব্র ধিক্কার জানাই মমতা ব্যানার্জি এবং মমতা- পুলিশকে। এভাবে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের মুখ বন্ধ করা যাবে না মাননীয়া। এর জবাব মানুষ দেবেই।’
বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ অমিত মালব্য টুইট করেছেন,’রিপাবলিক বাংলার সন্তু পানকে কেন গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ? এটা কি শুধুই সন্দেশখালীতে তার অস্বস্তিকর বিষয়ে রিপোর্ট বা প্রশ্ন করার জন্য ? শেষবার অভিষেক ব্যানার্জিকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বলে ? বার্তাটি পরিষ্কার – ডোরম্যাট সাংবাদিকদের আরএস-এ পাঠানো হবে। যারা কাজ করবে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।’
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘মমতার পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরিবর্তে নির্লজ্জভাবে সন্তু পানের মতো রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করে, যারা সন্দেশখালীতে নারীদের নির্মম নির্যাতনের কথা প্রকাশ করার সাহস করে। এ যেন স্বৈরাচার আর কাপুরুষতারই নিদর্শন!’
রিপাবলিক বাংলার সিনিয়র সম্পাদক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘আমরা একেবারে হতবাক যে পুলিশ কোনও 41A নোটিশ ছাড়াই, কোনও 91A নোটিশ ছাড়াই, একজন সাংবাদিককে টেনে নিয়ে গেছে। একজন রিপোর্টার অন গ্রাউন্ড, যিনি ভারতের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক ঘটনার (সন্দেশখালী সহিংসতা) রিপোর্ট করছিলেন। তারা ওই ব্যক্তিকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছে এবং এমনভাবে মারধর করেছে যেন সে শেখ শাহজাহান। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে দেখে বিস্মিত, রাজ্যের পুলিশ এমন আচরণ করছে যেন তারা শেখ শাহজাহানকে ধরেছে… আমরা সন্দেশখালীতে আমাদের কভারেজ জোরদার করছি এবং সামর্থ অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি ।’ তবে ওই সাংবাদিককে ঠিক কি অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় ।।