সূচনা গাঙ্গুলি,কলকাতা,১৮ জুন : ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ বৃষ্টির বার্তা না পাওয়া গেলেও কাব্যপ্রেমী মানুষদের মনের খোরাক মেটাতে একগুচ্ছ কবি- সাহিত্যিক ও কাব্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরে পাঠকের দরবারে হাজির হল বিশিষ্ট কবি মানিক সামন্তের ‘হৃদয় ও মনের কথা’। যার প্রতিটি কবিতার মধ্যে নীরবে ধরা পড়েছে প্রত্যেক মানুষের হৃদয় ও মনের কথা ।
এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শনিবার (১৭ জুন ২০২৩) কলকাতার শোভাবাজার গোপীদেব রাজবাড়িতে ভিন্ন স্বাদের ১৩৫ টি কবিতা সমৃদ্ধ কবির একক সংকলন কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ১৪৪ পৃষ্ঠার বইটিতে বেশ কিছু কবিতার সঙ্গে মানানসই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি ছবির মধ্যে পল্লীগ্রামের পরিচিত দৃশ্য ধরা পড়ে যা কবিতাগুলির আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
স্বয়ং কবি ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনিমেষ বসাক, জাস্টিস রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, গৌতম দেব, নিতাই মোহন চ্যাটার্জ্জী সহ আরও অনেকেই। এছাড়াও ছিলেন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক ড. প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়, জিতেন সামন্ত, অপূর্ব বিশ্বাস, স্বপন চ্যাটার্জ্জী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সুপরিচিত ফটোগ্রাফার অরিন্দম ভট্টাচার্য সহ কবির পরিবারের সদস্য ইন্দ্রানী কোলে, মহুয়া সামন্ত, পূর্ণিমা সামন্ত, সোমা সামন্ত, কমলিকা, সৌভিক, সৌম্যজিত সহ অন্যান্যরা। রাজকীয় ভঙ্গিমায় রাজবাড়ীর সদস্য গৌতম দেবের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের উজ্জ্বলতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কবি নিজের লেখা বই থেকে কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। অন্যান্যরাও কবিতা পাঠ করেন। এক সময় সাহিত্য সংক্রান্ত মননশীল আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অনিমেষ বসাক।
প্রসঙ্গত,কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর স্মৃতিধন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার অনন্তপুর গ্রামে কবির জন্ম। কবি জ্ঞানেন্দ্র নাথ সামন্ত তার ডাকনাম মানিক সামন্ত নামেই বেশি জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে তার লেখা ছোট ছোট কবিতাগুলি রসিক পাঠক সমাজের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মানিক বাবু বললেন – এমন একটা মানুষের স্মৃতিধন্য গ্রামে আমার জন্ম যেখানে সবার কলমে স্বাভাবিকভাবেই কবিতা ফুটে ওঠে। তাঁর অনুপ্রেরণা আমার পাথেয়। আমার লেখা কবিতা কাব্যরসিক পাঠকের ভাল লাগলে পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব ।।