এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জুন : গত ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ । তারপর আতঙ্কে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ গ্রামের প্রায় ৩০ টি বিজেপি সমর্থক পরিবার । বেশ কিছু মহিলা ও ১০ জন শিশুও রয়েছে ওই দলে । পরিবারগুলি মাসাধিক কাল ধরে জঙ্গলের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে অসহায় জীবন কাটালেও নিজের দলই খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ । শেষে ওই অসহায় পরিবারগুলির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াল সিপিআইএমএল (রেডস্টার) । সংগঠনের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদিকা ফতেমা বেগম ওই পরিবারগুলিকে শীঘ্র বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়ে
আউশগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ।
ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী ধর্মদাস বাগদি,মেনকা বাগদি, সুভাষ বাগদিদের অভিযোগ, ‘বিধানসভার ফল ঘোষণার পরেই প্রেমগঞ্জ গ্রামে বিজয় মিছিল করেছিল তৃণমূল । ওরা বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে কার্যত তান্ডব চালায় । মারধর, ভাঙচুরের পাশাপাশি চলে লুটপাট । তারপর আমরা প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলে পালিয়ে আসি ।’
জানা গেছে,আউশগ্রাম ২ ব্লকের প্রেমগঞ্জ গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দুরে ভাতকুন্ডা গ্রামের কাছাকাছি জঙ্গল রয়েছে । প্রেমগঞ্জ গ্রামের ২৫-৩০ টি বিজেপি পরিবার ঘটনার দিন রাতে ওই জঙ্গলে এসে আশ্রয় নেয় । তারপর থেকে জঙ্গলের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে অসহায় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে পরিবারগুলি ।
ঘটনার কথা কানে যেতেই ওই পরিবারগুলিকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হন সিপিআইএমএল (রেডস্টার) -এর জেলা কমিটির সম্পাদক ফতেমা বেগম । তিনি
আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দর আলিকে এনিয়ে একটি আবেদনপত্র লিখেছেন । কোন কোন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছিল তা নাম ধরে ধরে উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই আবেদনপত্রে ।
ফতেমা বেগম বলেন, ‘ওই ঘরছাড়া পরিবারগুলি খুব অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে । তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে চিঠি দিয়ে পরিবারগুলিকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছি।’
অন্যদিকে আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দর আলি বলেন, ‘যা হওয়ার হয়ে গেছে । এখন ওরা নির্ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারে ।’।