এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,০৮ জুলাই : অনেক সময় সরকারি কাজের জন্য চারিত্রিক সনদপত্রের প্রয়োজন হয়। যা এলাকার কাউন্সিলর বা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে( সরপঞ্চ) দিয়ে দেওয়া হয়। এতে সেই ব্যক্তির ভালো ভালো কথা লিখতে হয় এবং তার চরিত্র সম্পর্কে জানাতে হয়। এটি লেখা হয় যাতে ওই ব্যক্তির সরকারি কাজ সম্পন্ন করা যায়। যদি কখনও এতে কোনও ভুল থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। সম্প্রতি, একজন ব্যক্তির চারিত্রিক সনদপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে সরপঞ্চ এমন কিছু লিখেছিলেন যে সবাই বলছে যে সরপঞ্চ শত্রুতা প্রকাশ করেছেন।
ভাইরাল পোস্টে কী আছে?
ভাইরাল পোস্টে দেখা যাচ্ছে যে একজন ব্যক্তির চারিত্রিক সনদ তৈরি করতে হয়। যেখানে সরপঞ্চ কিছু অদ্ভুত জিনিস লেখেন। পোস্টের উপরে ব্যক্তির নাম, তার বাবার নাম এবং ঠিকানা লেখা থাকে। এরপর, নীচের চিঠিতে লেখা থাকে যে, “আমি তাকে খুব ভালো করে চিনি, সে খুব ঝগড়াটে। তার স্বভাব লোককে গালিগালাজ করা” এবং নীচে সরপঞ্চের সিল।
মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টটি ভাইরাল হচ্ছে। পোস্টটি হাজার হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। অনেকে মন্তব্যও করেছেন। একজন লিখেছেন যে এই দুজনকে সেরা বন্ধুর মতো দেখাচ্ছে। একজন বলেছেন যে যখন সেরা বন্ধু প্রধান হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বলেছেন, “দুশমন হো তো অ্যায়সা”।
জানা গেছে,রাজস্থানের দৌসার জয়সিংপুরা গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞান চন্দ্র বৈরওয়াকে এই চরিত্র সনদটি জারি করা হয়েছিল ফুলেরা পঞ্চায়েতের তরফে । ২০ জুলাই, ২০১৯ তারিখে এটি গ্রামের সরপঞ্চ (নির্বাচিত প্রধান) দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং সিল করা হয়েছিল । এতে লেখা ছিল: “আমি তাকে খুব ভালো করে চিনি। সে একজন ঝগড়াটে ব্যক্তি। তার স্বভাব লোককে গালিগালাজ করা ।” ওই সার্টিফিকেটটি ইনস্টাগ্রাম পেজ @santa_banta_jokes দ্বারা শেয়ার করা হয়েছে এবং এটি ১,০০০+ লাইক অতিক্রম করেছে । ব্যবহারকারীরা পঞ্চায়েত প্রধানের প্রশংসা করে এটিকে “সৎ” এবং “বিরল” বলে অভিহিত করেছেন, একজন রসিকতা করে বলেছেন, “আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু যখন সরপঞ্চ হন তখন এটিই ঘটে।” যদিও এর সত্যতা অনিশ্চিত, বিন্যাস এবং স্ট্যাম্পগুলি অফিসিয়াল বলে মনে হচ্ছে। এই স্পষ্ট মন্তব্য জ্ঞান চন্দ্রের অফিসিয়াল লেনদেন, যেমন চাকরির আবেদন বা আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে, চরিত্রের সনদ সাধারণত ভদ্র এবং সরকারি বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হয়।।

