১৭ ডিসেম্বর জামাত-ই-ইসলামি (মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখা), হুযবুত তাহরির, আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদার স্থানীয় শাখা), “আটকে পড়া পাকিস্তানি” এর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হাজার হাজার জিহাদি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর শারীরিক আক্রমণের কুখ্যাত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এদিকে, পাকিস্তানি আইএসআই ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় স্থাপনা এবং নাগরিকদের উপর হামলার একটি নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যার নেতৃত্বে থাকবে একটি জিহাদি প্রকাশনার সম্পাদক। আইএসআই কর্তৃক গঠিত “আটকে পড়া পাকিস্তানি” সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে “আটকে পড়া পাকিস্তানি” সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও বাংলাদেশে ভারতীয় স্থাপনা লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য মোতায়েন করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইংরাজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ব্লিটজের সম্পাদক সালহা উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ।
১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে হামলা ও ভাঙচুর এবং কূটনীতিকদের উপর শারীরিক আক্রমণের চেষ্টার পর, মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার অবৈধ শাসনব্যবস্থার প্রকাশ্য সমর্থিত ‘ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি’র নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ প্রকাশ্যে অত্যন্ত অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ভারতীয় হাই কমিশনারকে বাংলাদেশ থেকে “লাথি মেরে তাড়ানো” উচিত । এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেই আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের নিয়মিত কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে। আজ এই ভিসা সেন্টারে ভিসা আবেদনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরআগে বুধবার ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ভারতের হাইকমিশন । ভিসা সেন্টার এক বার্তায় বলা হয়, চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই, ঢাকায় আইভিএসি–জেএফি বুধবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, আজ জমা দেওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য,বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছে, তা নিয়ে বার্তা এসেছে দু পক্ষেই। দুই দিনের ব্যবধানে দুই দেশের হাইকমিশনারকে তলবের ঘটনাও ঘটেছে।।

