এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,০৯ মার্চ : যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসকে কৃতজ্ঞতা জানালেন পাকিস্তানি তরুনী আসমা শফিক । মূলত নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই পুতিন এবং জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধ করে মানবিক করিডোর করে অনান্য দেশের মানুষকে নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়ার সূযোগ করে দিচ্ছেন ৷ আর সেই সুযোগে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় এবং অন্যান্য দেশের মানুষকে সরিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারত । সেই দলেই ছিলেন আসমা । ইউক্রেন থেকে তাঁকেও নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছে ভারতীয় দূতাবাস । শ্রীঘ্রই তাঁকে পাকিস্থানে ফের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
এক কারনে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসমা শফিক বলেছেন, ‘আমার নাম আসমা শফিক । আমাদের সমস্ত রকম সাহায্য দেওয়ার জন্য আমি কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে কৃতজ্ঞ । আমরা এখানে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়েছিলাম । আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কৃতজ্ঞ । কারন তাঁর জন্যই আমরা এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরেছি । সাহায্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ ।
আমরা নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছি ।’
বিগত ১৪ দিন ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে । ফলে ওই পরিস্থিতির মাঝে ইউক্রেনে আটকে পড়েছে ভারতসহ বহু দেশের মানুষ । তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী । প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা বাঙ্কারের মধ্যে দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছিলেন । তাই আটকে পড়াদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তিনি এনিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন । আর তার পরেই মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধ বন্ধ রেখে মানবিক করিডোর করে আটকে পড়া মানুষদের চলে যাওয়ার জন্য সুযোগ করে দিতে সম্মত হন পুতিন-জেলেনস্কি । তারপর যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে দেশে ফেরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয় কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস । একথা জানতে পেরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আসমা শফিক নামে ওই পাকিস্তানি পড়ুয়া । শেষে অন্যান্য ভারতীয়দের সঙ্গে তাঁকেও উদ্ধার করে পশ্চিম ইউক্রেনে নিয়ে যাওয়া হয় । শীঘ্রই ওই তরুনী পরিবারের কাছে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস ।।